স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের প্রতিবন্ধক সব কালো আইন বাতিল জনগণের দাবী
- মনারুল ইসলাম
- প্রকাশঃ ০৬:৩৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ‘বিগত ১৬ বছর গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে ফ্যাসিবাদ কায়েমে বাধ্য করেছিল জালিম সরকার। ভিন্নমতের সংবাদ ও সংবাদ কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন করে আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের গডমাদার দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিক বন্ধুরা কাজ করেছেন। চ্যানেলে লাইভ করেছেন, তাদের সেই লাইভ দেখে ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে আসে। স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের প্রতিবন্ধক সব কালো আইন বাতিল জনগণের দাবী। এ দাবী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বাস্তবায়নে উদ্যোগে নিতে হবে।’
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার কারওয়ান বাজারের মুনুমনস কিচেনে জুলাই-আগস্ট কিপ্লব: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা মিডিয়া কর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মুরাদ হোসেন, মুফতি ফরিদুল ইসলাম ও মো. মাছউদুর রহমান, মুজিবুর রহমান, মুফতি সিরাজুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।
সম্মাননা প্রাপ্ত সংবাদকর্মীদের মধ্যে মতবিনিময় ও স্মৃতিচারণ করেন বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মুহিব্বুল্লাহ মহিব, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার মাজহারুল হক মুহাজির, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আওলাদ হোসেন বাবলু, আর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার খান আল আমিন, দেশ টিভির রিপোর্টার সাহেদুজ্জামান সাকিব, দৈনিক যুগান্তরের উত্তরা প্রতিনিধি মুহাম্মদ তারেক রহমান, দৈনিক সমকালের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার সাইমন মুবিন পল্লন, দৈনিক মানবজমিনের রিপোর্টার হুমায়ুন কবির মাসুদ, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ ফটোসাংবাদিক এসএ মাসুম।
মতবিনিময় শেষে জুলাই-আগস্ট’২৪ বিপ্লবে জীবনবাজি রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা মিডিয়া/সংবাদকর্মীদের সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘পতিত সরকার ছাত্র জনতার বিপ্লবে দেশত্যাগ করলেও দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু, সত্য কোন দিন গোপন থাকে না। আজ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই মিডিযায় সাক্ষাৎকার দিয়ে মিথ্যা প্রমাণিত করছে। সাংবাদিক বন্ধুদেরকে এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। কেননা এ দেশ আমার, আপনার সকলের। এ দেশকে আমরা জীবন দিয়ে ভালবাসি।’
অনুষ্ঠানে আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, ‘রাজনীতি ও সাংবাদিকতা একইসাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। এদের একটা ছাড়া অন্যটা অসম্পন্ন। দেশগড়ায় রাজনীতিবিদদের যেমন ভূমিকা থাকে, তেমনি ভুমিকা থাকে সাংবাদিকদের। তাদের রিপোর্টে বহু কিছু হয়। এ জন্য সাংবাদিকদেরও স্বচ্ছ ও পরিচছন্ন দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে হবে।’
শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিক বন্ধুরা পেশাগত দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। তাদের এই ত্যাগে জাতি সঠিক কিছু তথ্য পেয়ে থাকেন। এমনই এক ঘটনা প্রবাহ জুলাই-আগস্ট বিপ্লব। এই বিপ্লবে যারা জীবনবাজি রেখে পেশাগত দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন, তারা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের ত্যাগের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। সেইসাথে যারা জুলাই বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের জন্য সুস্থতার জন্য দোয়া করি।