আগামী বছরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: গণতন্ত্র মঞ্চ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:৩৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের গতি থাকলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার সরকার প্রধান কর্তৃক জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় ঐক্যমত সংক্রান্ত কমিশন গঠনের ধারণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন সরকারের কাজের গতি ও দক্ষতা থাকলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব।
নেতারা গতকাল উচ্চ আদালত কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কয়েকটি ধারা বাতিল সংক্রান্ত রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানে জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হলো।
নেতৃবৃন্দ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন বাস্তবে প্রশাসনে স্থবিরতা চলছে। একশ্রেণির আমলারা ব্যক্তিগত এজেন্ডা ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ব্যস্ত রয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, চার বছর আগে অবসরে যাওয়া মহিবুল হককে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলসমূহের মহাসমাবেশে এক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদি আদালতে উপস্থিত হয়ে তার মামলার সাথে মহিবুল হকের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকার কথা জানিয়ে হলফনামা দিলেও গত এক মাসে তার জামিন হয়নি। তিনি যাতে জামিনে ছাড়া না পান তার জন্য ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে এক নিহতের মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তারা বলেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সরকারি পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে মহিবুল হককে অন্যায়ভাবে জেলে পুরে রাখা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, এই ধরনের হয়রানিমূলক প্রতিশোধাত্বক মামলা চলতে থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আইনানুগভাবে মহিবুল হকের মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপর মানুষের বিপুল প্রত্যাশা। তারা যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে তাদের দলনিরপেক্ষতা হারান তাহলে তাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি রাজনৈতিক দলসমূহসহ সবাইকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে সংস্কার, জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিশেষ কোন দিকে ঝুঁকে না পড়ে সরকারকে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাতিল হওয়া স্থানীয় পরিষদের কাউন্সিলরদেরকে পুনর্বহাল করার তৎপরতায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এইভাবে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসরেরা আবার পুনর্বাসিত হবে।তিনি এসব তৎপরতা বন্ধের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ সংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল প্রমুখ।
নেতারা গতকাল উচ্চ আদালত কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কয়েকটি ধারা বাতিল সংক্রান্ত রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানে জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হলো।
নেতৃবৃন্দ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন বাস্তবে প্রশাসনে স্থবিরতা চলছে। একশ্রেণির আমলারা ব্যক্তিগত এজেন্ডা ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ব্যস্ত রয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, চার বছর আগে অবসরে যাওয়া মহিবুল হককে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলসমূহের মহাসমাবেশে এক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদি আদালতে উপস্থিত হয়ে তার মামলার সাথে মহিবুল হকের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকার কথা জানিয়ে হলফনামা দিলেও গত এক মাসে তার জামিন হয়নি। তিনি যাতে জামিনে ছাড়া না পান তার জন্য ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে এক নিহতের মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তারা বলেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সরকারি পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে মহিবুল হককে অন্যায়ভাবে জেলে পুরে রাখা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, এই ধরনের হয়রানিমূলক প্রতিশোধাত্বক মামলা চলতে থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আইনানুগভাবে মহিবুল হকের মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপর মানুষের বিপুল প্রত্যাশা। তারা যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে তাদের দলনিরপেক্ষতা হারান তাহলে তাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি রাজনৈতিক দলসমূহসহ সবাইকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে সংস্কার, জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিশেষ কোন দিকে ঝুঁকে না পড়ে সরকারকে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাতিল হওয়া স্থানীয় পরিষদের কাউন্সিলরদেরকে পুনর্বহাল করার তৎপরতায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এইভাবে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসরেরা আবার পুনর্বাসিত হবে।তিনি এসব তৎপরতা বন্ধের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ সংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল প্রমুখ।