আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ শুরু হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার পর নয়াপল্টন থেকে শুরু হয় লংমার্চ শেষ হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে। সকাল আটটায় লংমার্চ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরিতে কর্মসূচি শুরু হয়। লংমার্চকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনের হামলার প্রতিবাদে নানা ধরনের স্লোগান দেন। বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান ‘তথ্য সন্ত্রাস’ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল গত সোমবার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে লংমার্চের রুটও জানিয়ে দিয়েছেন তারা। ঘোষিত রুট অনুযায়ী সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরব পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রওনা করার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এছাড়া ভৈরব মোড়ে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না। আখাউড়া স্থলবন্দরে হবে সমাপনী সমাবেশ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। শায়রুল কবির খান আরও জানান, আখাউড়া পৌঁছানোর আগে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হবেন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা।
‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান স্থগিতের প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের
‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপিল বিভাগ কর্তৃক স্থগিতের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘জয় বাংলা’ শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্লোগান নয়। এই স্লোগান দিয়েই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিরূদ্ধে বাঙালির স্বাধিকারের আন্দোলন শুরু হয়েছিলো। ‘৬৬’-এর ছয় দফা আন্দোলন, ‘৬৯’-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০’-এর নির্বাচন এবং ‘৭১’-এর মুক্তিযুদ্ধ সবই হয়েছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে ধারণ করে। রণাঙ্গনে এই স্লোগান মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করত, উজ্জীবিত করত। যে স্লোগান শুনে এখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষের মনে শিহরণ জাগে। একমাত্র পাকিস্তানের আদর্শে যারা অনুপ্রাণিত ছিল তারাই এই স্লোগানটি অপছন্দ করত। এই স্লোগান তাদের মনে আতংক ছড়াত। এই স্লোগান নিষিদ্ধের জন্য পাকিস্তানী ভাবধারায় বিশ্বাসীরা বহু বারই চেষ্টা করেছে। এই স্লোগান বাতিলের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হল এই বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানী আদর্শের জঙ্গিদের হাতে জিম্মি। এই বাংলাদেশ এখন আর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কোন সরকারের হাতে নেই।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘গেল চার মাসে আমরা লক্ষ্য করেছি, এই সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। জনকল্যাণকর কোন কাজ বা আইন করেননি, দেশের উন্নয়নমূলক কোন কর্মকান্ড হাতে নেয়নি। বরং, তাদের সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলা, স্বাধীনতার ইতিহাসকে মুছে ফেলার দিকে, দেশকে জঙ্গিবাদের আস্তানা বানানোর দিকে। মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত রিসেট বাটন পুশের মাধ্যমে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টাটাই দিন দিন আরো স্পষ্ট হচ্ছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে এই রায়ের বিরূদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী
দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।এর আগে গেল ২২ অক্টোবর দুপুরে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় মো. মাহবুব আলীকে জামিন দেন।হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এ সাংসদ ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় হত্যা ও ভাঙচুরের অভিযোগে তিনটি মামলায় এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হবিগঞ্জের মাধবপুরে জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, পৌরসভা ও ডাকবাংলোয় হামলার অভিযোগে ১৯ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফাহিমা আক্তার খান জানান, মাধবপুরের মামলায় মাহবুব আলীকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষতে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ মাহবুব আলী শ্যোন অ্যারেস্টের আদেশ দেন।মাহবুব আলীর ছোট ভাই আইনজীবী ফজলে আলী হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজগুবি অপপ্রচার করছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজগুবি অপপ্রচার করছে। তাদের উদ্দেশ্য ভয়ঙ্কর খারাপ। তারা চট্টগ্রাম দাবি করলে, আমরা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা দাবি করব। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় ভারতের শাসকগোষ্ঠী মনকষ্টে আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রশ্নে গোটা জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ। এ ব্যাপারে কোনো আপস নেই। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দেশীয় পণ্য, কিনে হও ধন্য ব্যানারে রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন পার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠাতে বলেছেন। একটি সার্বভৌমত্বের দেশে কিভাবে অন্য একটি বাহিনী পাঠায়। এ থেকে প্রমাণ হয় শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, এতে ভারতের রাজ্য থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির মন খারাপ। আদতে ভারতের রাজনীতিবিদদের গোড়া রসুনের মত একই জায়গায়। তারা এদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না; বন্ধুত্ব করে শেখ হাসিনার সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। সিন্ডিকেট করে সংকট তৈরি করা হয়েছে টাকা লুটপাট করার জন্য। রিজভী আরও বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা বেশ দক্ষ। এক সময় ভারত থেকে চিকিৎসা নিতে রাজশাহীতে লোক আসত। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশিদের ভারত থেকে শাড়ি, সাবান, বিছানার চাদর বা অন্য কিছু কেনা উচিত নয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী এশা, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ। বক্তব্য শেষে রুহুল কবির রিজভী স্বল্পমূল্যে দেশি লুঙ্গি, শাড়ি, সাবান ও পাঞ্জাবি বিক্রি করেন প্রান্তিক মানুষের মধ্যে। পরে তিনি ভারতীয় একটি জয়পুরি বিছানার চাদর পোড়ান।
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না: খন্দকার মোশাররফ
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর ফান টাউন মিলনায়তনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কুমিল্লা বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমি মনে করছি একটি মহল চেষ্টা করছে সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্ব করতে। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কারণ পতিত সরকারের দোসররা দেশে এবং ভারতে থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে।’ বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়ে দেশের সম্পূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সরকারের জন্য একটি দলীয় সরকার প্রয়োজন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে একটি দলীয় সরকার গঠন সারা বাংলাদেশের মানুষের দাবি।’ রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কুমিল্লা বিভাগীয় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালা পরিচালনা করছেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। কুমিল্লা বিভাগীয় কর্মশালায় অংশ নেন- দলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনসহ কুমিল্লার ছয়টি জেলা বিএনপি, মহানগর, পৌরসভার শীর্ষ নেতা-কর্মীরা। কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার বানু, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর সাত্তার পাটোয়ারী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবা হাবিব।
র্যাবের বিলুপ্তি চায় বিএনপি
র্যাপিড আ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটির কাছে এই সুপারিশ করেছে দলটি। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির পুলিশ সংস্কার কমিটির প্রধান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটি বিএনপির কাছে সুপারিশ না চাইলেও আমরা সুপারিশমালা দিয়েছি। রাষ্ট্রের এই অত্যাবশ্যকীয় সেবার (পুলিশ) সংস্কার এখন সময়ের দাবি। সুপারিশমালায় বিএনপি পুলিশ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে বলেও জানান হাফিজ। হাফিজ বলেন, পুলিশের বিভিন্ন স্তরের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তকাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। জনগণের সঙ্গে পুলিশের দুরত্ব কমানোর সুপারিশ করেছি আমরা।
১৬ ডিসেম্বর কনসার্ট করবে বিএনপি
আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সর্বজনীনভাবে উদযাপন করবে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে উদয় টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে কনসার্ট হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির আনুগত্য করার জন্য নয়। আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, এহসান মাহমুদ ও জাহিদ রনি।
১২ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ১২ বছরের সাজা থেকে বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেন। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাটোরে ১৮টি বাড়ি-ঘর পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নাটোরে মামলা হয়। একই ঘটনায় ২০০৭ সালে আরেকটি মামলা হয়, যেখানে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে আসামি করা হয়। পরে নাটোরের বিশেষ জজ আদালত দুলুকে ১২ বছর এবং অন্য ৮৩ আসামিকে ১০ বছরের সাজা দেয়। সেই সাজার বিরুদ্ধে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ২৮ আসামি আপিল করেন। শুনানি শেষে আজ রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। রায়ে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
আমরা মানবিক একটি জাতি চাই: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা চাই, আগামীতে দেশটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালিত হোক। আমরা এমন একটি জাতি চাই, যেটি হবে মানবিক। প্রত্যেক ব্যক্তি একে অপরকে সম্মান করবে ও ভালোবাসবে। আমরা কারো চাকরি বা শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখব না, আমরা শুধু দেখব তিনি একজন আশরাফুল মাখলুকাত।’ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সমাজে যেখানে কেউ থাকবে, সেখানে তারা নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে এবং এই দুইয়ের মাধ্যমে সমাজে গর্বিত নাগরিক হিসেবে বসবাস করবে। আমরা ধর্মের প্রতি কোনো বৈষম্য করব না। আল্লাহ যাকে সৃষ্টি করেছেন, তাকে ধর্ম বেছে নেওয়ার অধিকার দিয়েছেন। আল্লাহ কখনও কারোর ওপর ধর্ম চাপিয়ে দেন না। সুতরাং আমরা সবাই মিলে, সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে এই ফুলের বাগান গড়ে তুলব, ইনশাল্লাহ।’’ জামায়াত আমির বলেন, ‘এদেশে মানুষ শান্তিতে ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে বসবাস করছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ এদেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান, এবং তারা জানে, প্রতিটি মানুষের জীবন ও সম্পদ অন্য মানুষের কাছে আমানত। আমরা এটা বিশ্বাস করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পট পরিবর্তন হওয়ার পর, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী, আমরা সবার পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা সবার উদ্দেশ্যে আশ্বস্ত করেছি, আমরা সবাই এদেশের নাগরিক, এবং শান্তিতে এখানে বসবাস করব। অশান্তি তৈরি করতে দেওয়া হবে না।’ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট তিন দিন বাংলাদেশে কোনো সরকার ছিল না, সেই তিন দিন সরকার ছিল জনগণ। জনগণ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বলেছিলেন, তারা ক্ষমতায় হারালে দুই দিনের মধ্যে ৫ লাখ লোক মারা যাবে। আল্লাহর মেহেরবানীতে তাদের কিছুই হয়নি, এটা ছিল আল্লাহর বিশেষ মেহেরবানী।’ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘অনেকে জনগণের হাতে ধরা পড়েছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে খুনের নেশায় বিভোর ছিল, জনগণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যেখানে মানুষ দায়িত্বশীল এবং মানবিক হবে।’ ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের মা-বোনদের নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, বলা হয়েছে, যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, তাহলে মা-বোনদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না এবং রাষ্ট্রীয় অর্থে কালো বোরখা কিনে সবাইকে পরানো হবে। কিন্তু ইসলাম কখনো কারো ওপর জোর করে বোরকা পরায় না। ইসলাম মানুষের মানসিক পরিবর্তনের মাধ্যমে শালীনতা পরিধানে উদ্বুদ্ধ করে। মেয়ে যদি খুশি হয়ে নিকাব, হিজাব পরতে চায়, তাহলে আল্লাহ তাদের পরিবর্তন এনে দিবেন।’ তিনি বলেন, ‘এদেশে অন্য ধর্মের মানুষও আছেন, তাদের ওপর আমরা এই বিধান জোর করে চাপিয়ে দিতে পারি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী বাকশালীরা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে তাদের সব চক্রান্ত মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে, যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি এবং এটি পতিত স্বৈরাচারেরও কল্পনার বাইরে ছিল।’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, এটি আল্লাহর পরিকল্পনার অংশ ছিল। তারা মানুষের রক্ত নিয়ে খেলেছে। তারা ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে এবং এরপর পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৫৭ জন দেশপ্রেমী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। বিচারের নামে জামায়াতের শীর্ষনেতাদের একের পর এক নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আলেম-উলামা এবং মাদরাসা ছাত্ররাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অপশক্তির পতন ঘটেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী শাসনামলে দেশকে অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু লজ্জাজনক পতনের পরেও তারা নিজেদের খাসলত বদলাতে পারেনি। ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। এবং এরাই এক সময় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিল।’ তিনি বলেন, ‘এদের হাত থেকে কোনো শ্রেণি বা পেশার মানুষই রেহাই পায়নি। জামায়াতের শীর্ষনেতাদের তারা ফাঁসির মুখে দাঁড় করিয়ে, অপরাধ স্বীকার করিয়ে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার মুখোমুখি করেছিল। কিন্তু তারা হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে আমাদের সম্মানিত করেছেন, যা দেশের এবং জাতির জন্য সম্মানজনক।’ অনুষ্ঠানে তিনি আগস্ট শহীদদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি আবু নাহিদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ।
ভোটার তালিকা প্রণয়নে বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, কি চায় বিএনপি?
‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নে ‘বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, আপগ্রেড’ চায় বিএনপি।’ বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের নির্বাচন সংস্কারবিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মঈন খান। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আসলে সত্যিকার অর্থে অনেস্টলি সঠিক ভোটার তালিকা আমরা করতে চাই… তাহলে কিন্তু আমরা বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, আমরা কম্পিউটার এআই… আজকে কিন্তু আমরা কম্পিউটারকে বলে দিলে সে নিজেই করে দিতে পারে… সেটা অ্যাবসুলেটলি একুয়রেট হবে।’ ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়ি বাড়ি যাওয়া এটা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, অপ্রয়োজনীয় এবং এটাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বহু বেশি। যিনি মারা গেছেন, তার নামটা অটোমেটিক্যালি বাদ চলে যাবে…। এ বিষয় (ভোটার তালিকা) আমরা সংস্কার প্রস্তাবে স্পষ্ট করেছে, এটা আপগ্রেড হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মঈন খান বিগত সরকারের আমলে আরপিওর সংশোধনে যে সম্পূরক আদেশ এনেছিল, তা বাতিল, নির্বাচনী পরিচালনায় কিছু বিধিমালা সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নীতিমালা সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা আপগ্রেড করা, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গণমাধ্যমের নির্বাচনি আচরণ বিধিমালাসহ দশ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। এ সংস্কার প্রস্তাবগুলো তারা সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড তৈরি জন্য যাতে সত্যিকারভাবে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে এবং জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, ডামি প্রতিনিধি না, ভুয়া প্রতিনিধি না সেজন্য আমাদের এ সংস্কার প্রস্তাব।’ ‘প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনকে কুক্ষিগত করতে বিগত সরকার বহু কিছু করেছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা যাতে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতে পারে, তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, সেজন্য আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রণীত বিধিমালার সংশোধন চেয়েছি।’ সংবাদ বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক হলেন সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমকে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) তাকে মুখ্য সংগঠক করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আহ্বায়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে গত ৮ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে “জাতীয় নাগরিক কমিটি”। পরে নভেম্বরে কমিটিতে সদস্য হিসেবে জায়গা দেওয়া হয় সারজিস আলমকে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সারজিস আলমকে কেন্দ্রীয় “মুখ্য সংগঠক” হিসেবে মনোননীত করা হলো।
মহান বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
‘মহান বিজয় দিবসের র্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি; এরইমধ্যে নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার; প্রস্তুত জলকামান, সাঁজোয়া যান ও প্রিজন ভ্যান’। ২০২৩ সালের বিজয় দিবস পর্যন্ত অনেকটা এ রকমই ছিল বিএনপির ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপদযাপনের চিত্র। অনেক বছর পর চব্বিশের বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) অনুকূল পরিবেশে উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামে একটি সাংগঠনিক ব্যানার। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সামনে আসবে এই উদ্যোগ। এর আহ্বায়ক শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন। বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্বশীলসূত্র জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা, পুরো মুক্তিযুদ্ধকালে জিয়া পরিবারের আত্মত্যাগ, দেশ পরিচালনায় এসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নানা উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এসবই বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হতে পারে। দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর অনুকূল পরিবেশে র্যালি করবে বিএনপি। বিগত সময়ে বিজয় র্যালির আগে অনুমতি নেওয়া, পুলিশের মাত্রাতিরিক্ত তল্লাশিসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে নেতাকর্মীদের। এবার সেই পরিবেশ নেই। জানা গেছে, নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসের র্যালিতে সিনিয়র নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিগত বছরগুলোয় বিএনপির বিজয়র্যালি পরিণত হতো দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে। দলের অনুসারীরা স্লোগান, প্ল্যাকার্ড ও বিভিন্ন রকম ফেস্টুনে তার মুক্তির দাবি জানাতো। খালেদা জিয়ার বক্তব্য সংবলিত বিভিন্ন রঙের গেঞ্জিও পরিধান করতে দেখা গেছে। এবার অবশ্য মুক্তির দাবি থাকছে না। এবারের বিজয় দিবসকে বিএনপি আগামী দিনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে কী কী করার সুযোগ সৃষ্টি করবে, এর একটি প্রতিশ্রুতির প্রদর্শন দেখা যেতে পারে। সর্বোপরি কেবল ইতিহাস নয়, আগামী দিনের বার্তাও দিতে চাইছেন দলটির শীর্ষনেতৃত্ব। এমনটি জানান একজন দায়িত্বশীল। জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার মূল আকাঙ্ক্ষাকে ধুলিস্যাৎ করেছিল। গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন তৈরি হয়েছে। এই প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই উদ্যোগ নেন, যা ১৬ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।’
কলকাতায় ধর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগের চার নেতা গ্রেফতার
ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেটের আওয়ামী লীগের চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতেই তাদের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে নেয়া হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহসভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। এছাড়া পলাতক রয়েছেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু। শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের আবাসস্থলে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিলং থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হলেও, আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।সূত্রে আরও জানা যায়, কলকাতার ওই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদের ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজাহারে নাম না থাকায় ওই ইউপির চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়।এ ব্যাপারে কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপর একটি সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন মূলত রিপন ও জুয়েল। কিন্তু, নাসির ও মুক্তিসহ সবাই এক ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। তাই, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
ঢাকা থেকে আগরতলা পর্যন্ত লং মার্চ করবে বিএনপির তিন সংগঠন
বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্যসন্ত্রাস ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে লং মার্চ করবে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন। আগামী বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই লং মার্চ শুরু করবে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়। বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র, যুবক ও স্বেচ্ছাসেবী জনতাকে এই লং মার্চে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘গেল ২ ডিসেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভারতের হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির এক দল উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের মাধ্যমে সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছে, মিশনের সম্পদ বিনষ্ট করেছে। আমরা ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদল মনে করছি, বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাতের শামিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা বলে এক দিকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের অবমাননা করেছেন, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।’ জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরে ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লাগামহীন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে যুবদলের সভাপতি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠিত ছাত্র জনতার সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে তারা ক্রমাগত ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত খবর প্রচার করছে। তাদের অপপ্রচার এবং গুজবের কারণে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা একইসঙ্গে ভারতের সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।’ ভারত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনকে মেনে নিতে পারছে না দাবি করে আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘ভারত গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আরো বহু ব্যক্তি ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারত এখন বাংলাদেশি ক্রিমিনালদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন শ্যুটঅ্যাট সাইটের অর্ডার দিয়ে গোপ, হৃদয় তারুয়া, রুদ্র সেন, দীপ্ত দে, শুভশীল, তনয় দাসদের খুন করেছে, ভারত তখন কোন প্রতিবাদ বা উদ্বেগ জানায়নি। কিন্তু, হাসিনার পতনের পরে ভারত কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বহিষ্কৃত ইসকনের নেতা, বাংলাদেশের নাগরিক চিন্ময় দাসের গ্রেফতার, তদন্ত ও বিচার সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু, ভারতের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরানো সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের রায় প্রকাশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞা ও বক্তব্য সরানো সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত রায় পাঠানো হয়েছে বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এ দিকে, রোববার (০৮ ডিসেম্বর) তার দেয়া বক্তব্য বিদ্বেষমূলক কিনা খতিয়ে দেখে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানিয়েছে প্রসিকিউশন।গেল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশন টিমের আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শেখ হাসিনার প্রচার হওয়া আগের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ও সরিয়ে ফেলার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের এ আদেশ পাঠানো হবে ফেসবুক, এক্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে।গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সেই বক্তব্য আবার নিজেই ছড়িয়ে দিতে বলছেন। সেগুলো আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে।সবশেষ ভারতের বসে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়।প্রসিকিউশন বলছে, ‘শেখ হাসিনা যে সব হেইট স্পিচ দিচ্ছেন, তা বন্ধেই এ আবেদন।’এ দিকে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এর আগে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। যা এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি একা সামাল দিতে পারবে না অন্তর্বর্তী সরকার
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, `অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমান পরিস্থিতি একা সামাল দিতে পারবে না। তাই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র শক্তি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’ রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সাইফুল হক আরো বলেন, ‘ভারত তাদের সব প্রতিবেশীকে বৈরী প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশকে তারা সেভেন সিস্টার্সের একটি রাজ্যের মত দেখত। ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক স্বার্থে অবস্থান নিয়ে বিগত সরকার এ দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘ঐক্যের ক্ষেত্রে অনেকগুলো মতপার্থক্য আছে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। এর বাইরে রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পক্ষের নানা অ্যাজেন্ডা আছে। তাই, এখানে আমাদের একটা জাতীয় ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। বৈষম্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সবক্ষেত্রে আছে। এসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার ছাড়া আমরা সামনে এগোতে পারব না। আগামী জানুয়ারির মধ্যে যদি অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচন করে বিদায় নিতে পারে, তাহলে এটা হবে তার সবচাইতে বড় সাফল্য।’ সভায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘কীভাবে আমরা বহু মতাদর্শের মধ্যকার বিরোধ নিরসন করতে পারি, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাষ্ট্রধর্ম, সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নগুলোর সুরাহা করতে গেলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে কিনা আমরা জানি না। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মত বক্তব্য দিতে শুরু করেছে। কেউ বলছে, বেশি সময় নেন, কেউ বলছে দ্রুত নির্বাচন দেন। এই অবস্থায় সংবিধান, নির্বাচনের প্রশ্নে বিরোধ অবশ্যই হবে। অর্থাৎ, আমরা সংস্কারের জায়গাটা তৈরি করতে পারছি না।’ তিনি আরো বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে সব শ্রেণি, পেশা, ধর্মের মানুষ একটা জায়গায় এসে মিলিত হয়েছিল ৫ আগস্টে। এখন কেউ যদি এখানে ডানপন্থি রাষ্ট্র গঠন করতে চান, সেটা সম্ভব না, সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে চাইলেও সম্ভব না। আমাদের বিবাদ সত্ত্বেও একটা সুনির্দিষ্ট মধ্যবিন্দুতে এসে পৌঁছাতে হবে। যেখান থেকে বাংলাদেশ নতুন একটা অভিযাত্রা শুরু করতে পারবে।’ স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই রাষ্ট্র, সমাজের ভাল চাই, এটা আমাদের ঐক্যমত্যের ভিত্তি। আমার মনে হয়েছিল, আমার জীবদ্দশায় শেখ হাসিনার পতন দেখতে পাব। কি থেকে কী হয়ে গেল, এটা কেউ ভাবতে পারেনি। মা তার সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন মুখ বন্ধ করে ছিলাম। এখন সেই বাধাটা মুক্ত হয়ে গেছে। আমরা এখন কথা বলতে পারছি। কিন্তু, তার মানে এই নয় যা ইচ্ছা তাই বলতে হবে। যারা নীতি নির্ধারণে আছেন তাদের সবকিছু নিয়েই ভাবতে হবে।’ সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সংস্কার রাজনৈতিক সরকার করবে। যে অবস্থায় ছিলাম তা থেকে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছতে চাই, তাহলে আমাদের কিছুক্ষেত্রে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন অবশ্যই দরকার। নির্বাচনের জন্যই এতকিছু হয়েছে। তাই, ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব না। ২০০৭ সালে সংস্কার সংস্কার সবাই করছিল, কিন্তু কিছু হয়েছে? যারা সংস্কার চেয়েছিল তারা পার্টি থেকে বাদ হয়ে গিয়েছিল। সংস্কারপন্থি গালি হয়ে গিয়েছিল। তারা সংস্কার করতে গিয়ে মাইনাস টু করতে চেয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা দেশ চালাতে পারবে, কিন্তু আপনারা গণতন্ত্র পাবেন না। তাই, একটু ধৈর্য ধরতে হবে। যে দশটা সংস্কার কমিশন হয়েছে তাদের শিগগিরই রিপোর্ট দেওয়ার কথা। তিন মাসের মধ্যে একটা পর্যালোচনা হোক, এখন কি করা যায়, নির্বাচিত সরকার এলে কি কি করবেন। এগুলোর তো ধারাবাহিকতা লাগবে।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের আগে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকেই খুঁজে পাওয়া যেত না। আর দেশে পিতা ছাড়া আর কেউই কিছু করেনি। ৫ আগস্টে দেখলাম, সবাই আছে শুধু আওয়ামী লীগ নেই। এই বৈচিত্রের ঐক্যই বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান একটা শিক্ষা দিয়েছে যে, তোমরা যতই ক্ষমতাসীন হও জনগণের শক্তির সামনে কোন শক্তিই টিকে থাকতে পারে না।’ বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য দূর না করলে ফ্যাসিবাদ যাবে না বলেও মনে করেন তিনি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের সভাপতি শেখ আব্দুন নুর বলেন, ‘দেশ একটা সুন্দর জায়গায় না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেন সঠিক পথে থাকে, আমরা সেই লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকব।’
বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের অপছন্দ: তারেক রহমান
বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর কাজকর্ম সাধারণ মানুষ পছন্দ করছে না জানিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। জনগণ যেভাবে বলবে, সেভাবেই পরিচালিত হতে হবে।’ রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার খিলক্ষেতে বরুয়া আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপি আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে তারেক রহমান আরো বলেন, ‘দেশকে কিভাবে পুনর্গঠন করতে চায় বিএনপি তারই সংস্কার হিসেবে ৩১ দফা প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। সংস্কার প্রস্তাব শুধু দলীয় কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, প্রতিটি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ৩১ দফায় কারও আপত্তি বা কোন প্রস্তাবনা থাকলে সংস্কার কিংবা সংযোজন করা হবে।’ জনগণ যেভাবে বলবে সেভাবেই পরিচালিত হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে দলের কর্মীদের। জনগণের সমর্থনকে যে কোনভাবে অর্থাৎ ইতিবাচকভাবে বিএনপির পক্ষে রাখতে হবে।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়, মানুষও এক রকম হয় না। ৫ আগস্টের পর গত চার মাসে দলের কিছু নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে তাদের অনেকের কাজকর্ম সাধারণ মানুষ পছন্দ করছে না।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। যদি লক্ষ্য অন্য কিছু হয়ে থাকে, তবে দুই দিন পরে ছিটকে পড়ে যাবেন। জনগণের সমর্থন থেকে ছিটকে পড়বেন। তাদের আস্থা থেকে দূরে সরে যাবেন৷ তাই, সবাইকে জনগণের আস্থা ও সম্মান এবং সমর্থন ধরে রাখতে কাজ করতে হবে। জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসা ধরে রাখতে হবে।’
স্মারকলিপিতে ভারতীয় হাইকমিশনারকে যা বলল বিএনপির তিন সংগঠন
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন। রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুর সোয়া একটায় ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয়জন প্রতিনিধি ওই স্মারকলিপি জমা দেন। প্রতিনিধিরা হলেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির। স্মারকলিপিটি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে দেয়া হবে। স্মারকলিপিকে সাম্প্রতিক অবন্ধুসুলভ ঘটনাবলি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই মর্মে গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করছি যে, দুনিয়া কাঁপানো ছাত্র-জনতার অভাবনীয় তুমুল আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আপনার দেশে পালিয়ে যাওয়ার পর আপনারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন। অতঃপর আপনার দেশের অতি উগ্রবাদী নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষ করে কিছু সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়া বাংলাদেশের এই গণশত্রু হাসিনা ওয়াজেদকে পুনরায় পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করবার নিমিত্তে একের পর এক অজ্ঞ-অর্বাচীনের ন্যায় কাজ করে যাচ্ছে।’ ‘যাতে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের বন্ধুত্ব ছিল হাসিনার সাথে, বাংলাদেশের জনগণের সাথে নয়। হাসিনা এখন বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে উঠেছে। এক দিকে তিনি বাংলাদেশের ভিন্ন দলমতের মানুষদের ঘরবাড়ি সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুকুম দিচ্ছেন। অপর দিকে, যারা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছেন। ভারতের নিরাপদে আশ্রয়ে থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার এই অপচেষ্টা বাংলাদেশের জনগণ ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না।’ ‘এক্সিলেন্সি, আপনি সম্যক অবগত আছেন যে, গত ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। নৈতিক পদস্খলনের কারণে ইসকন থেকে বহিষ্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে উগ্র হিন্দুত্ববাদী হাজার হাজার মানুষ যখন রাষ্ট্রীয় মদদ ও প্রশ্রয়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা করছিল, তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে আপনার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’ ‘প্রাপ্ত বিবরণগুলো চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের প্রাঙ্গণে আক্রমণ করার সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায়, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে, তারা জাতীয় পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরে সম্পত্তিরও ক্ষতি করে। দুঃখজনকভাবে, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় না থাকতে দেখা গেছে। এটি কূটনৈতিক নিয়ম ও আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুতর লঙ্ঘন। একই সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১’-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমন ন্যাক্কারজনক বিস্ময়কর ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও আপনার সরকারের নীরবতায় বাংলাদেশের জনগণ হতাশ। আমরা পরস্পরের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি হবে সমতা, পরস্পরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও সম্মান প্রদর্শনের ওপর।’ স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, ‘সার্বভৌম কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের শামিল। ভারতের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবজ্ঞাস্বরূপ বলে আমরা চাই, ভারত সরকার ভারতীয় মিডিয়া আউটলেটগুলোকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার আদর্শ প্রচার করতে পরামর্শ দেবে।’ তারা প্রত্যাশা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, অপতথ্য বন্ধ করতে ভারতীয় সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দেশগুলোর মধ্যে একটি স্থিতিশীল, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ অংশীদারিত্ব অপরিহার্য। বিএনপি জাতিসংঘের সনদের নীতির উপর ভিত্তি করে ‘সব সদস্যের সার্বভৌম সমতার’ ভিত্তিতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ স্মারকলিপিতে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘জাতীয়তাবাদী আমাদের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপির মাধ্যমে আপনাকে অবগত করছি এবং অনুরোধ জানাচ্ছি যে, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অবস্থান ও মতামত ভারতীয় সরকারের নিকট পৌঁছে দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’ এর আগে, রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা ভারতের হাইকমিশন অভিমুখে এগোতে থাকেন। পরে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে পুলিশ রামপুরা ব্রিজে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের প্রস্তাবে ছয়জনের প্রতিনিধি দলকে ভারত হাইকমিশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিএনপির তিন সংগঠনের ৬ প্রতিনিধি যাচ্ছে ভারতীয় হাইকমিশনে
স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বিএনপির তিন সংগঠনের ছয় জন প্রতিনিধিকে ভারতীয় হাইকমিশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। প্রস্তাবে রাজি হয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিনিধিরা ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি তারেক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কিছু নিয়ম মানতে হয়। আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে কথা বলেছি। কথা অনুযায়ী বিএনপির তিন সংগঠনের ৬ জন প্রতিনিধিকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির তিনটি অঙ্গ সংগঠনের যৌথ প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি আটকে দিয়েছে পুলিশ। দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রাটি আটকে দেন তারা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পদযাত্রায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে গেল ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির পদযাত্রা
ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির তিনটি অঙ্গ সংগঠনের যৌথ প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি আটকে দিয়েছে পুলিশ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রাটি আটকে দেন তারা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘এক জাতি এক দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘ওয়াসিম-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোন আপস নয়’, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নয়’, ‘সবার উপরে দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। পদযাত্রায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
দিল্লির আধিপত্য প্রতিহত করতে প্রস্তুত বাংলার মানুষ: রিজভী
বাংলাদেশকে ছোট করে দেখতে বারণ করে ভারতের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা আকাশ পাতাল, ভূমি সব দিক দিয়ে দেশকে নিরাপদ রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে জানি। আমাদের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্যবাদ প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছে। রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরুর আগে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। সুশৃঙ্খলভাবে আমরা এই পদযাত্রা করবো। ভারত নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা শান্তির পক্ষে। তিনি বলেন, ভারতের মন ভালো নেই। কারণ তাদের সঙ্গে ভুটান নেই, নেপাল নেই। কেউ তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারে না। এখন বাংলাদেশকে নিয়েও তারা ষড়যন্ত্র করছে। ভারতের ভিসা দেওয়া বন্ধ করার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কোনো লাভ নেই। ভিসা বন্ধ করে তো আমাদের উপকারই করেছে ভারত। ডলার পাচার হবে না। অনেক টাকা চলে যেত ভারতে যেতে আসতে। এখন টাকাও যাবে না। আর ভোগ্যপণ্য না দিলে দেশের মানুষ বেশি পরিশ্রম করে ফসল উৎপন্ন করবে। আমাদের রিজার্ভ বাড়বে। এতে আমাদের লাভই হলো। ভারতের লোকজন বাংলাদেশের ইলিশের জন্য তাকিয়ে থাকে এমন ইঙ্গিত দিয়ে রিজভী বলেন, আমাদের সুস্বাদু ইলিশের জন্য সবাই তাকিয়ে থাকে। ইলিশ নেন কেন? আসলে ভারত সবসময় বিদ্বেষ ছড়ায়। এরা বাংলাদেশকে সহ্য করতে পারে না। তিনি বলেন, সীমান্তে কড়াকড়ি করে তো লাভ হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল আসত। আরও মাদক আসত। এখন আসা বন্ধ। ভারতের গণমাধ্যমে চট্টগ্রাম দখলে নেয়ার কথা বলা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আপনারা চট্টগ্রাম নেয়ার কথা বলেছেন। তাহলে আমাদের বিহার উড়িষ্যাও ফেরত দাও। আমরা এটা দাবি করছি। পদযাত্রায় তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু
ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির তিনটি অঙ্গ সংগঠনের যৌথ প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘এক জাতি এক দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘ওয়াসিম-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোন আপস নয়’, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নয়’, ‘সবার উপরে দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথভাবে এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। প্রতিবাদী পদযাত্রা নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসে যাওয়া হবে। সেখানে স্মারকলিপি দেবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। পদযাত্রার আগে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনা দুঃখজনক। তারা হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা ভারতকে বন্ধু ভেবেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের প্রভুর ন্যায় আচরণ করছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে যা জানালেন ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার বিষয়ে কথা বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দল (বিএনপি) যখন মনে করবে তখন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এছাড়া তার আরও কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে তিনি দেশে যাবেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিলেতের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, যে সংস্কারের কথা এখন বলা হচ্ছে সেসব বিএনপি অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন সময় দাবিতে তুলে এনেছে। তখন জামায়াত ইসলামসহ অনেকেই এই দাবি সমর্থন জানিয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন ছিল। সেটার মাধ্যমেই তাদের বিদায় করা হয়েছে। তিনি বলেন, বহুদিন আগে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি শেখ হাসিনাকে বলেছেন রং হেডেড। আর রং হেডেড ছাড়া কেউ এখন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করতে পারে না। বিএনপির মহাসচিব বলেন, তার (শেখ হাসিনা) দলের লোকেরা কোন অবস্থায় আছেন না আছেন, কিছু না ভেবে তিনি পালিয়ে গেলেন। আর আমাদের নেত্রীকে বহুবার দেশ ছাড়তে বলা হয়, কিন্তু তিনি ছাড়েননি। বলেছেন, এটিই আমার ঠিকানা। হাসিনার আমলে দেশের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এমন একটা ফ্যাসিজিং এর মধ্য দিয়ে আমরা লড়াই করেছি। এমন একটা বছর ছিল না যে আমরা জেলে যাইনি। তখন পুলিশ ও আদালতের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা ছিল বিএনপিকে কে কত কষ্ট দিতে পারবে। ‘গত ১৫ বছরে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা কেয়ারটেকার সরকারের মধ্যদিয়ে দেশকে যে একটা গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার দিকে যাচ্ছিলাম সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে। মিডিয়াকে গলাটিপে হত্যা, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট চালু করাসহ সবখানে চাটুকারিতার রেওয়াজ চালু করে দেওয়া হয়েছে। তখন সুনির্দিষ্ট কিছু মিডিয়াকে প্রমোট করার চেষ্টা করা হতো,’ বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশের বিরুদ্ধে অপতথ্য রোধে আমরা বিভিন্ন সময় বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে আসছি। এক্ষেত্রে আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসে আপনারাও সঠিক তথ্য তুলে ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব বলেন, বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আমি মনে করি আমাদেরকেই সেই কাজটি করতে হবে। সার্বিক বিষয়ে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে কখনো কোনো রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সমস্যা হয়নি। তবে যারা তারেক রহমানকে নির্যাতন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, গত ১৭ বছরে প্রবাসীদের অনেকের জায়গাজমি দখল করে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকেরা। তারাও তাদের জায়গা জমি ফেরত চায়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন প্রবাসীদের মূল্যায়ন করা হবে। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।
আ.লীগকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার দেওয়া হবে না
আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বারোঘরিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। হারুনুর রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশদ্রোহী দল। এরা দেশ, গণতন্ত্রের ও মানুষের শত্রু। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার দেওয়া হবে না। তা না হলে তারা ভারতের কাছে এবার স্থায়ীভাবে দেশকে লিখে দেবে। যুব সমাজকে আরও বেশি সতর্ক ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পরাজিত শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিএনপি যাতে ক্ষমতায় না আসে তাই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রের আমাদের দাঁতভাঙা জবাব দেব। হারুনুর রশীদ বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে থেকে চক্রান্ত করছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর কোনো আক্রমণ হয়নি। তারা স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, চলাফেরা ও লেখাপড়া করছে। অথচ ভারত থেকে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।