ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:০৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেখানে অভ্যর্থনা সভার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নেভাল অপারেশনস ফর ইন্টিগ্রেশন অফ ক্যাপাবিলিটিস অ্যান্ড রিসোর্সেসের ভাইস অ্যাডমিরাল জে র্ব্যাড স্কিলম্যান।
জে র্ব্যাড স্কিলম্যান জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে অগ্রগণ্য করে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার ও আত্মোৎসর্গকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক মহিমান্বিত অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
জে র্ব্যাড স্কিলম্যান শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ডিএম সালাহউদ্দিন মাহমুদ, দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম। দূতাবাসের প্রথম সচিব আতাউর রহমান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ।
সালাহউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যসহ আত্মত্যাগকারী লাখো শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীর ও বহুমুখী প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর জোর দেন এবং উভয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন।
সালাহউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, ডিফেন্স অ্যাটাচে, পেন্টাগন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মো. শাহেদুল ইসলাম অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সর্মথন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। কেক কাটা ও নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।