ক্রীড়া সংস্থাগুলো সংস্কার করে বিসিবিতে নয়া পরিচালক আনা হবে


News Defalt/Asif (8).jpeg
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে কিছুটা অগোছালো অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও স্বীকার করেছেন, জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিসিবি। তবে, সমস্যা সমাধানে শিগগিরই ক্রীড়া সংস্থাগুলো সংস্কার করে বিসিবিতে নয়া পরিচালক আনা হবে জানিয়েছেন তিনি।

Your Image

রোববার (১৭ নভেম্বর) যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গেল ১০০ দিনের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আসিফ মাহমুদ।
 
সেখানে প্রসঙ্গ উঠে আসে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলে করা মন্তব্যের। যিনি বর্তমান ক্রিকেট বোর্ড জোড়াতালি দিয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। ব্যাপারটি স্বীকার করেছেন আসিফও। তুলে ধরেছেন প্রেক্ষাপট। একইসাথে আশ্বাস দিয়েছেন, তাড়াতাড়ি সমস্যা সমাধানের।
 
আসিফ বলেন, ‘এটা বাস্তব যে জোড়াতালি নিয়ে চলছে। কারণ, বহু পরিচালক এখন নেই। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নতুন পরিচালকদের আমাদের নিতে হবে। সেটা নেয়ার ক্ষেত্রেও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন আমাদের ক্রীড়া সংস্থাগুলো এখনো পুর্নগঠন হয়নি। পুর্নগঠনের কার্যক্রম চলমান আছে। সেগুলো পুর্নগঠন হলে তার মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই আরও নতুন পরিচালক যোগ হবে। বিসিবির বিভাগগুলো ভাগ করে দেয়ার বিষয় আছে। সেগুলো ভাগ করে দিলে বিসিবির কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আসবে বলে আমি মনে করছি।’

 
মূলত, ৫ আগস্টের পূর্বে ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই প্রাক্তন সরকারের প্রতিনিধি ছিলেন। বিসিবির প্রাক্তন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন-ই ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংসদ ও মন্ত্রী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে যাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। আরও অনেকেই এভাবে আড়াল হয়েছেন। 

আসিফ বলছেন, ‘রাজনৈতিকীকরণ করা না হলে দেশে যত পরিবর্তনই আসুক বিসিবি চলত তাদেরই নিয়মে।’
 
তিনি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক, আমাদের খেলাধুলাকে যেভাবে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে। বিসিবিতে তো ধারাবাহিকতা ভাঙার কোন কথা ছিল না। যদি বিসিবিতে রাজনৈতিকীকরণ না করা হত, তাহলে দেশে পরিবর্তন আসলেও বিসিবি তার মতেই থাকতে পারত, ধারাবাহিকভাবে তার কার্যক্রম চালাতে পারত। আমি যখন দায়িত্ব নিলাম, তখন বিসিবির পরিচালকদের পাওয়া যাচ্ছিল না। কারও সাথে যে পরামর্শ করব, এমন একটা লোক পর্যন্ত ছিল না। স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে, গঠনতান্ত্রিক বহু জটিলতা ছিল। আইসিসির যে ফ্রেমওয়ার্ক আছে, তার মধ্যে থেকে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিসিবিতে পরিবর্তন এনেছি।’
  
এ দিকে, স্টেডিয়ামগুলোর অধীনে থাকা দোকানগুলো নিয়ে অনিয়ম বন্ধ করতে নতুন কমিটি করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নতুন করে বন্টন করবে দোকান।
 
আসিফ বলেন, ‘স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকানগুলো নিয়ে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পরামর্শক্রমে নতুন করে বন্টন করা হবে। আমাদের স্টেডিয়ামগুলোতে যে দোকানগুলো রয়েছে, সেখানে সরকার খুবই নামমাত্র ভাড়া পায়। কিন্তু, আসলে চার-পাঁচটা চুক্তি হয়ে গেছে এক-একটা দোকানে। বার বার হাত বদল হতে হতে দেখা যায় সরকার পায় ৭-৮ হাজার, কিন্তু আসল ভাড়া দুই লাখের কাছাকাছি। সে জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনার জন্য আমরা একটা কমিটি করেছিলাম। সে কমিটির প্রস্তাবনা দাখিল হবে বলে আমি জানতে পেরেছি। প্রস্তাবনার ভিত্তিতে আমরা একটা ব্যবস্থামূলক সিদ্ধান্ত নিব।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×