
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী-১ আসনের প্রার্থী খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, যদি আসন্ন নির্বাচনকে বিতর্কিত করা হয়, তবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে জনগণের আদালতে জবাব দিতে হবে। দানবীয়-মাফিয়া সরকারের পতন হয়েছে। সামনে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে। এজন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে অতীতের শিক্ষা নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যদি তারা পক্ষপাতিত্ব করে কিংবা নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, তাহলে তাদের জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে নরসিংদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই জনগণের মধ্যে উৎসাহ ও আশার সঞ্চার হয়েছে জানিয়ে খায়রুল কবির খোকন বলেন, “আমরা আশাবাদী যে, আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মূল্যবান ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবে। নির্বাচিত হলে ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।”
কিছু রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। তাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই কাজ করতে হবে। কিন্তু কিছু দল জানে, নির্বাচন হলে তাদের জামানত থাকবে না। তাই তারা নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “তারা জানে নির্বাচনে কয়টি আসন পাবে। নির্বাচন পেছালে কিছু সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যায় বলে তারা নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এসব অপচেষ্টা তাদের আরও জনবিচ্ছিন্ন করবে এবং শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।”
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সহসভাপতি একেএম গোলাম কবির কামাল, ফারুক উদ্দিন ভূইয়া এবং জেলা, শহর ও চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।