
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সার না পেয়ে বকশীগঞ্জ-রৌমারী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ক্ষুব্ধ কৃষকরা। পরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কৃষি কর্মকর্তার আশ্বাসে কৃষকরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাট্রাজোর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় কৃষকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
কৃষকরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই বাজারে সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েক দিন ধরে সার না পাওয়ায় তারা ভুট্টা ও আলু চাষাবাদ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। বাট্রাজোর ইউনিয়নের বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিনিধি কৃষকদের জন্য সার বিক্রির ঘোষণা দিলেও কিছু কৃষককে সার দেওয়ার পর হঠাৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ডিলার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করেছেন। এতে ডিলার অপসারণের দাবিতে কৃষকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
কৃষকরা বলেন, কয়েক দিন ধরে চেষ্টা করেও তারা জমির জন্য প্রয়োজনীয় সার পাননি। ডিলারের বিরুদ্ধে সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এখনই ক্ষেতে সার দেওয়ার সময়। আজ-কালকের মধ্যে সার না পেলে রোপণই করা যাবে না।
খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা-উল-হোসনা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভারপ্রাপ্ত ইউএনও আসমা-উল-হোসনা বলেন, কৃষকদের মধ্যে যারা সার পাননি তাদের আইডি কার্ড চাওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে আগামীকাল থেকে তাদের সার দেওয়া হবে। এমন আশ্বাসের পর কৃষকরা রাস্তা অবরোধ তুলে নেন।
তিনি আরও জানান, বিক্রয় কেন্দ্রের মজুদ ও বিক্রির হিসাব নেওয়া হচ্ছে এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় কোনো সার সংকট নেই। যারা একাধিকবার সার নিয়ে গিয়ে জনদুর্ভোগ তৈরি করছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে মেসার্স মোজাহিদ ট্রেডার্সের মালিক রুমান তিনি বলেন, আমার ঘরে ১৭৪ ব্যাগ সার ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ৫ থেকে ৭শ লোক চলে আসায় সার বিতরণ করতে পারিনি।