
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাট্টাজোড় নতুন বাজারে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় বকশীগঞ্জ-রৌমারী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে কয়েকশ যানবাহন। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বকশীগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ডিলারদের কাছে গিয়ে চাহিদামতো সার কিনতে পারছেন না কৃষকরা। এতে তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সার সংকট নিরসনে ডিলারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তবুও সংকট কাটেনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের নতুন বাজারে ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সার দেওয়ার কথা ছিল।
কৃষকদের অভিযোগ নিজের পছন্দের কয়জনকে সার দিয়ে দোকান বন্ধ করে দেন ডিলার রোমান মিয়া। এ ঘটনায় কৃষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে বকশীগঞ্জ-রৌমারী সড়কে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। ডিলারের দাবি, বরাদ্দের চেয়ে কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় সার বিক্রি বন্ধ করে দেন তিনি।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার সরবরাহের আশ্বাস দেন। তাদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক এনামুল হক, মমিন মিয়া ও হিরা বেগম জানান, চলতি মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না তারা। কৃষি অফিস বলছে, সারের কোনো সংকট না থাকলে ডিলাররা কেন সার দিচ্ছেন না। চাহিদামাফিক সার না পেলে চাষাবাদে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে জানান তারা।
বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতি মাসেই সারের বরাদ্দ দেওয়া হয়। সারের কোনো সংকট নেই, কিন্তু চাহিদার চেয়ে বেশি সার দাবি করেন কৃষকরা। এতেই সমস্যা হচ্ছে। তাই জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে প্রকৃত কৃষকদের সার দেওয়া হবে।