
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল শুরু হওয়ার আগেই তা থেমে যায় প্রার্থীকে না ডাকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলায়। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির ভেতরে ক্ষোভ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বুধবার ৩ ডিসেম্বর বিকেলে সলিমাবাদ ইউনিয়নে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, সলিমাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আগের দিন বিকেলে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হলেও প্রোগ্রাম শুরুর আগেই টাঙ্গাইল ৬ আসনের বিএনপির প্রার্থী রবিউল আওয়াল লাভলুর কয়েকজন সমর্থক সেখানে উপস্থিত হয়ে বিরোধিতা শুরু করেন। মাহফিলের ব্যানারে শিল্পপতি তুহিনের নাম থাকলেও লাভলুর নাম না থাকায় এবং তাকে অতিথি হিসেবে না ডাকায় সমর্থকরা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তোলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক বাধে এবং লাভলুর সমর্থকেরা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের বের করে দেন। ফলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিতই হতে পারেনি।
অভিযোগকারী নেতাকর্মীরা বলেন, সারাদেশে খালেদা জিয়ার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দোয়া করছে, কিন্তু নাগরপুর বিএনপিতে সেই ঐক্যের প্রতিফলন নেই। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই সংগঠনে বিভাজন তৈরি হয়েছে, যার কারণে এ ধরনের দুঃখজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে তাদের মন্তব্য।
সলিমাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন পল জানান, “দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। সারাদেশের মতোই আমাদের উপজেলা বিএনপির নির্দেশনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের হট্টগোলের কারণে দোয়া করা সম্ভব হয়নি।”
অন্যদিকে প্রার্থী রবিউল আওয়াল লাভলু ঢাকা ওয়াচকে বলেন, “ব্যানারে তুহিনের নাম থাকায় আমার কর্মী সমর্থকরা হট্টগোল করতে পারে। কারণ তুহিন আওয়ামী লীগের দোসর। ফলে ব্যানারে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর নাম না থাকলে সমর্থকরা প্রতিবাদ করবেই।”