
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোরগাঁও চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
হামলার মধ্যে ছাত্রদলের একটি স্বতন্ত্র কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়, যা পরিচালনা করছিলেন স্থানীয় ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান।
স্থানীয়রা জানান, গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান ও রাকিব হাসান- এই দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সাজ্জাদ হোরগাঁও এলাকায় একটি কার্যালয় চালালেও বৃহস্পতিবার রাকিব গ্রুপের অনুসারীরা সেখানে হামলা চালায়। সাজ্জাদের সমর্থকরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
রূপগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ছাত্রদলের কোনো আনুষ্ঠানিক কমিটি নেই, তবে দুজনই এলাকায় সংগঠনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। সাজ্জাদকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান- এর অনুসারী বলা হয়। অন্যদিকে রাকিব স্থানীয়ভাবে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সাজ্জাদ অভিযোগ করে বলেন, “গত বুধবার রাতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসান ওই কার্যালয়ে এসে কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের ছবি নামিয়ে কার্যালয় খালি করে দেওয়ার জন্য বলে আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।”
অভিযুক্ত রাকিব হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়। তবে ওই কার্যালয়ে নানা ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রামবাসী হামলা করেছে বলে শুনেছি।”
রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব মাসুদুর রহমান বলেন, “সাজ্জাদ ও রাকিব দুজনই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
ঘটনার বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সুষ্ঠু তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”