
‘জিনের বাদশা’র পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বগুড়ায় মহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার নাম করে খাবারের সঙ্গে অচেতন করার ওষুধ মিশিয়ে ফাঁদ পাতা ছিল তার কৌশল- এমন তথ্য দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আতোয়ার রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তার আগে, বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ সোনাতলা উপজেলার রানিরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিদুলকে আটক করে।
সোনাতলার রানিরপাড়া গ্রামের তোজাম আকন্দের ছেলে মহিদুল নিজেকে দীর্ঘদিন ধরে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) মোমিনুর রহমান তার বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় মামলা করেন। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিদুল প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।
পুলিশ আরও জানায়, তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কথিত দুইটি হাড়, দুইটি সুরমা দানী, তিনটি লাল কাপড়, আতর, তাবিজ, সাদা কাপড়, তছবি, আগরবাতি ও কালো সুতা জব্দ করা হয়েছে।
মামলার তথ্যে বলা হয়েছে, বগুড়ার মহাস্থানগড় ইসলামী জলসায় ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় হয় মহিদুলের। পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর কৌশলে ডেকে নিয়ে খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে তাকে অস্বাভাবিক মোহগ্রস্ত করে রাখেন। সুযোগ বুঝে তিনি নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। অভিযোগের পর তদন্তে প্রতারণার ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।