
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কুয়াকাটার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নিজ বাড়িতে যৌনকর্মীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. আব্দুল হালিমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ রোকন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে পৌর ও উপজেলা জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মো. শহীদুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ রোকন বৈঠক আহ্বান করা হয়। এতে কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মো. শহীদুল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নানসহ শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
বৈঠকে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনার পর মো. আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে তাকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জামায়াত নেতারা জানান, সংগঠনের নীতিমালা ও আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দল কঠোর অবস্থানে থাকবে বলেও তারা জানান।
কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ রোকন বৈঠক ডেকে কুয়াকাটা পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী করতে হলে সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন ও দলীয় নীতিমালা মেনে চলতে হবে।”
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বহিষ্কৃত নেতা মো. আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, “আমার বাসায় ৬টি ফ্যামিলি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটিতে মা-মেয়ে পরিচয়ে চারজন নারী গত দুই মাস আগে বাসা ভাড়া নেন। এখন তারা কোথায় কী কাজ করে সেটা আমার জানার বিষয় না।” তিনি আরও দাবি করেন, “আমাকে কিছু না বলেই জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি মনে করি বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কথা বলে তারপর তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।” এ বিষয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করার কথাও জানান।