
বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পথে রয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে দেশে ২৫৭টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও কার্যকরী ওষুধ কোম্পানি রয়েছে, যাদের উৎপাদিত ওষুধ ১৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়। মোট জিডিপির ১.৮৩ শতাংশ আসে ফার্মাসিউটিক্যাল খাত থেকে। তবে শিল্পখাতটি এখনও কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যেগুলো মোকাবেলায় পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
৪ নভেম্বর ২০২৫ সালে গুলশান, ঢাকা বিএপিআই কার্যালয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই)-এর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ডিএসই’র পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম এবং পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল, আর বিএপিআই-এর পক্ষ থেকে সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির নেতৃত্বে নির্বাহী কমিটি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আব্দুল মুক্তাদির বলেন, শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদী আস্থা ফিরিয়ে আনতে নীতি ও আইন স্থিতিশীল রাখা জরুরি। পাবলিক কোম্পানিগুলোর জন্য কর সুবিধা নিশ্চিত করলে আরও প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, একটি প্রাণবন্ত শেয়ারবাজার সম্পদের তারল্য বৃদ্ধি করে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য ডিএসই একটি রূপান্তর যাত্রার মধ্যে রয়েছে। আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং তথ্যস্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য সেন্ট্রাল ইনফরমেশন আপলোড সিস্টেম চালু হচ্ছে। বর্তমানে ৩৪টি ফার্মাসিউটিক্যাল ও কেমিক্যাল কোম্পানি ডিএসই-তে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
ডিএসই প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আসাদুর রহমান জানান, কোম্পানিগুলি মূল বোর্ড, SME বোর্ড ও Alternative Trading Board (ATB) মাধ্যমে লিস্টিং করতে পারবে। বিশেষ করে ATB ক্ষুদ্র ও উদীয়মান উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ও নমনীয়।
বৈঠকে অন্যান্য কোম্পানি ও উদ্যোক্তারা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির সুবিধা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, স্বচ্ছতা ও কর সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা উল্লেখ করেন, ব্যাংক নির্ভর অর্থায়নের পরিবর্তে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করলে কোম্পানির প্রবৃদ্ধি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর হবে।
পরিশেষে মমিনুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তন যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব। একসাথে কাজ করে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা, আস্থা ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।