
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আলোচিত অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খানের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, তিনি শিগগিরই একটি রাজনৈতিক দলে যুক্ত হবেন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন।
শনিবার (০৮ নভেম্বর) এসব গুঞ্জন এবং সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় তাহসান বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জন নিয়ে আমি একতা কথা বলেছি, এখন কেন, ভবিষ্যতেও কখনো রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছে নেই আমার। যা ছড়িয়েছে তা মিথ্যে। কনসার্টে যখন গান ছাড়ার কথাটা বলেছি, সে সময় খুব কম মানুষ ছিল। সেটা যে এভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে ভাবিনি। অভিনয় থেকে যেভাবে ধীরে ধীরে বিরতি নিয়েছি, সেভাবে গান থেকেও বিরতি নেব। আমি তো একটু আবেগপ্রবণ, কবি মানুষ। এমনভাবে বলে ফেলেছি যে ছড়িয়ে গেছে। আমার ওই একটা কথার ফলে অনেক কিছু হয়ে গেছে।”
তাহসানের মতে, বর্তমান সময়ে কিছু মানুষ শুধু ভাইরাল হওয়ার নেশায় থাকে, আর এই প্রবণতা এখন সারা পৃথিবীতেই চলছে।
তিনি বলেন, “এটা পৃথিবীজুড়েই চলছে। আমাকে নিয়ে ছড়ানো গুজবটা তেমনি ভাইরাল হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় এগুলো পার্ট অব দ্য গেম। একটা খেলার মতো। এ কারণে খুব চিন্তা করে কথা বলতে হয়। কোন কথাটা নিয়ে কখন কী হয়ে যাবে, এটা ভাবতে হয়। এখন আমরা এক যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে, দর্শক কম কিন্তু সমালোচক বেশি। কিন্তু এই সময়ে সত্য নিউজ প্রচার করা খুব জরুরি। তাই আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ করব সত্য নিউজটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিন।”
তিনি আরও জানান, কয়েক মাস আগে এক অনলাইন নিউজ পোর্টাল তাকে নিয়ে “বাবা হয়েছেন” শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছিল, যা পুরোপুরি ভুয়া ছিল।
বাবা হওয়ার খবরের বিষয়ে তাহসান বলেন, “কয়েক মাস আগে কোনো এক অনলাইনে নিউজ হয়েছে আমি নাকি বাবা হয়েছি! সারা দেশে ভাইরাল হয়ে গেল। আমার কাছে অভিনন্দিত বার্তা আসতে শুরু করল। অথচ ওটা ছিল তিন-চার বছর আগে আমার এক ছোট ভাই বাবা হয়েছিল, আমি হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ছবি তুলেছিলাম—সেই ছবি। যারা এসব ফেক নিউজ ছড়ায় আমি তাদের নিয়ে পোস্ট করলে উল্টে তারা ফেমাস হয়ে যাবে। তাই এই কাজগুলো হচ্ছে সাংবাদিক ভাইদের, যারা আমাদের মতো আর্টিস্টদের রক্ষা করবে। কারণ, আমরা যারা কাজ করি তারা এবং বিনোদনের সাংবাদিকরা সম্পূরক।”
শিল্পী ও সাংবাদিকদের পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তাহসান শেষে বলেন, শিল্পী ও সাংবাদিকদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বিনোদনজগতকে সত্য ও সুস্থ ধারায় এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।