
উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ে কয়েক দশক আগে জাপানি নাগরিক অপহরণের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানাই তাকাইচি কিম জং উনের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন তিনি।
২০০২ সালে উত্তর কোরিয়া প্রথমবার স্বীকার করে যে, ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে তাদের এজেন্টরা ১৩ জন জাপানি নাগরিককে অপহরণ করেছিল। এই নাগরিকদের মূলত পিয়ংইয়ংয়ে জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি শেখানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। জাপানের ধারণা অনুযায়ী, কমপক্ষে ১৭ জন নাগরিক অপহৃত হয়েছে, যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
টোকিওতে এই ইস্যু নিয়ে আয়োজিত এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে তাকাইচি বলেন, “জাপান ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে নতুন ও ফলপ্রসূ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমি কিম জং উনের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি বৈঠকের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” যদিও এ প্রস্তাবে পিয়ংইয়ং এখনও কোনও প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এর আগে জাপানের একাধিক নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কেউ সফল হননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি ২০০২ ও ২০০৪ সালে পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং তখন কিম জং ইলের সঙ্গে সাক্ষাত ও পাঁচজন ভুক্তভোগীর প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন। উত্তর কোরিয়া তখন জানিয়েছিল যে, অপহৃত আটজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
এর পাশাপাশি, তার পূর্বসূরি শিগেরু ইশিবা টোকিও ও পিয়ংইয়ংয়ে লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
জাপান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে, যাতে অপহরণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আলোচনায় থাকে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প টোকিও সফরে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তাকাইচি বলেন, “ভুক্তভোগীদের জীবন এবং আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমি প্রয়োজনে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। অপহরণ ইস্যুটি আমার মন্ত্রিসভার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
সূত্র: এএফপি