
জুতা ক্ষয় হলে গেলে
পা কঙ্কর বা কাঁটায় রক্তাক্ত হয়,
জীবনবাগানে নেমে আসে
অ্যাসিড বৃষ্টির মতো
ম্যাক্স এনট্রপি, তবু পা যুগল
ক্ষয় করে যায় নতুন জুতাদের!
ফসলি জমিতে অস্ত্রাগার করে
পায়েরা খোঁজে কালো রসুন!
তা দেখে পাশেই হাসে মাটি
হা হা হা… কালো রসুন…হা হা হা…
পা এতই বজ্জাত—
যে জুতা এত দিন বুক পেতে
পাথর, পেরেকের ঘা
সহ্য করে এসেছে কেবল
পাকে সুরক্ষিত রাখতে, সেই
পা-ই আজ তাকে
ছুড়ে ফেলে দিল ভাগাড়ে!
তুলে নিল নতুন জুতা
তার বুকে ঘা দিতে দিতে
ক্ষয় করাতেই তার যেন
মহানন্দ, অথচ তাকে ছাড়া
এক পা সামনে বাড়ানোর তার
কোনো মুরোদ নেই, সত্যি নেই
অথচ পা জানে না—
ক্ষুদ্র প্রাণী টার্ডিগ্রেট
১৪৯ ডিগ্রি তাপও সহনশীল,
বেঁচে থাকতে পারে
মাইনাস ২৭২ ডিগ্রি ঠান্ডাতেও
ক্ষুদ্র তো ক্ষুদ্র নয়, ক্ষুদ্র—
হেমার্কেট স্কয়ারেও
বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে যায়
পৃথিবীকে পাল্টে দেয়
ম্যাককরমিকে সমবেত কণ্ঠে
এই সব স্পার্ম ব্যাংক
মূলত জুতাদের দৌলতেই পূর্ণ
খোজাদের দুনিয়া গড়ে দেয়
পাল্টে যায় পৃথিবীর মানবেতিহাস
তবু নিয়তি এমন—
জুতারা দিন শেষে বুক ফুলিয়ে
সমবেত হয় পায়ের সাম্রাজ্য
টিকিয়ে রাখতেই
এরই নাম পৌনঃপুনিক নিয়তি…