
সরকার যদি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ‘গোপন চুক্তি’ করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের পথে হাঁটে, তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে; এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
রোববার (২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার যদি আরপিওর (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সর্বশেষ সংশোধনী বাতিল করে, তবে তা হবে “ন্যক্কারজনকভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গের শামিল।” তার ভাষায়, এমন সিদ্ধান্ত নিলে কোনো দলের প্রার্থী জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে, যা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
পরওয়ার বলেন, “নির্বাচনী জোট গঠিত হলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে; গত ২৩ অক্টোবর এমন বিধান সংযোজন করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।” তবে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে তিনি দাবি করেন, বিএনপির একজন নেতার সঙ্গে সরকারের এক উপদেষ্টার তথাকথিত “জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট”-এর ভিত্তিতে সেই অনুমোদিত আদেশ বাতিল হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ যদি বাতিল করা হয়, তা হবে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অগণতান্ত্রিক এবং স্পষ্টতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” পরওয়ারের মতে, এই প্রক্রিয়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা এবং সব দলের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়টিতে গুরুতর সন্দেহ তৈরি করবে।
জামায়াতের এই নেতা সতর্ক করেন, নির্বাচনের মাত্র চার মাস আগে সরকারের কোনো উপদেষ্টা এবং একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতার যোগসাজশে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে নিরপেক্ষ ভোট আয়োজন অসম্ভব হয়ে পড়বে। জাতীয় স্বার্থে এবং রাজনৈতিক সমতার স্বার্থে তিনি বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বহাল রাখার আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি।