
তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে অনেকটা স্বস্তিবোধ করছেন খালেদা জিয়া। ছেলে দেশে ফেরার খবরটি কয়েক দিন আগে বিএনপির চেয়ারপারসনকে জানান তাঁর পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। দীর্ঘদিন পর সন্তানের দেশে ফেরার খবরটি খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শুয়েই পেয়েছেন। এক মাস ধরে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার জানান, ‘চেয়ারপারসনের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার খবরে স্বস্তিবোধ করছেন তিনি।’
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জিয়াউল হক জানান, খালেদা জিয়া এখনও সিসিইউতে রয়েছেন। শারীরিক অবস্থা আরও ভালো হলে কেবিনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, আপাতত শারীরিক অবনতি নেই, যা ইতিবাচক লক্ষণ।
মেডিকেল বোর্ডের আরেকজন সদস্য বলেন, ‘উনার শরীরে গুরুতর সংক্রমণ থাকায় উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উনি চিকিৎসা সফলভাবে গ্রহণ করতে পারছেন।’
এদিকে, গত শুক্রবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা গত এক মাসের মধ্যে এখন বেশ স্থিতিশীল।’
খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৮০ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও চোখের সমস্যা সহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৭ নভেম্বর তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। দেশি-বিদেশি ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনছেন।