
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়েছে, যাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে বোয়িং ৭৮৭-৬ ড্রিমলাইনার এয়ারবাসে বিজি ২০২ ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাসে ছয়টি টিকিট কেনা হয়েছে। টিকিটগুলো তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, ব্যক্তিগত সচিব আব্দুর রহমান সানি, প্রেস উইংয়ের সালেহ শিবলী এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কামাল উদ্দীনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে আরাফাত রহমান কোকোর দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান তাদের চাচার সঙ্গে সফর করছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই ছয়জনের বাইরে নিজের খরচে ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ক্রয় করেছেন আরও কয়েকজন নেতা ও কর্মী। তাদের মধ্যে রয়েছেন মাহিদুর রহমান, মুজিবুর রহমান মুজিব, খছরুজ্জামান খছরু, নাসির আহমদ শাহীন, রহিম উদ্দীন, আসাদুজ্জামান আহমদ, গোলাম রব্বানী, মঈন উদ্দীন, জুবায়ের বাবু, এম এ সালাম ও ডালিয়া লাকুরিয়া প্রমুখ।
যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ইতালি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বিএনপির কিছু নেতা ইকোনমি ক্লাসে টিকিট কেটে ফ্লাইটে যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি তারেক রহমানের গৃহকর্মীরাও আছেন। সব মিলিয়ে ফ্লাইটটিতে ৫০ জনের বেশি থাকবেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, “তারেক রহমান তার পরিবার ও ব্যক্তিগত স্টাফদের সঙ্গে দেশে ফিরছেন। এছাড়া অন্যান্য যাত্রীরা নিজ নিজ খরচে টিকিট কেটে একই ফ্লাইটে যাচ্ছেন।”
এদিকে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর পূর্বাচলে ৩০০ ফিট এলাকায় তৈরি সংবর্ধনা মঞ্চ পরিদর্শনকালে মির্জা আব্বাস মন্তব্য করেন, “তারেক রহমানের সংবর্ধনায় কত মানুষ উপস্থিত হবেন তা অনুমান করা সম্ভব নয়। এটি এক বিশাল আয়োজন হবে, সম্ভবত কল্পনার বাইরে। পৃথিবীর বড় নেতাদেরও নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে, যা স্বাভাবিক বিষয়। সরকারকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে বিএনপি পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”