
জাপানের নাগোয়া শহরে বাংলাদেশের দক্ষ মানবসম্পদ সম্ভাবনা তুলে ধরতে বিশেষ সেমিনার ও ম্যাচিং ইভেন্টের আয়োজন করেছে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ-জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা (জিটকো)-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে বাংলাদেশের দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
সচিব নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া দুই দেশের মানবসম্পদ কাঠামোর পরিসংখ্যানভিত্তিক তুলনা উপস্থাপন করে জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে বর্তমানে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে, যা আগামী দুই দশক ধরে বৃদ্ধি পাবে। জাপানের শ্রমবাজারে সম্ভাব্য ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের উদ্যোগ নেবে।
নেয়ামত উল্যা আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী তৈরিতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠন করা হচ্ছে, যা জাপানের সঙ্গে কর্মী প্রেরণ সংক্রান্ত সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “বাংলাদেশি ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।”
জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি অনুষ্ঠানে জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা ও আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
সেমিনারের শেষে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।