
মালয়েশিয়ার জোহর বারুতে আইএস সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে আটক হওয়া এই দুই ব্যক্তি বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে রয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সশস্ত্র পুলিশের প্রহরায় মোহাম্মদ আফসার ভূঁইয়া (৩০) এবং মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫)–কে সেশন কোর্টে হাজির করা হয়। শুনানি অনুষ্ঠিত হয় বিচারক দাতুক চে ওয়ান যায়েদি চে ওয়ান ইব্রাহিমের আদালতে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম টিভি তিগা এবং হারিয়ান মেট্রোর খবরে বলা হয়েছে, শুনানির সময় সরকারি কৌঁসুলি লিনা হনিনি ইসমাইল আদালতকে জানান, বাংলা ভাষার দোভাষী উপস্থিত না থাকায় অভিযোগপত্র পাঠ সম্ভব হয়নি। এজন্য তিনি নতুন তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ জানান। এদিন আদালতে কোনো জামিনের আবেদনও করা হয়নি।
আদালত অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী নিযুক্ত হয়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মোহাম্মদ আফসারের বিরুদ্ধে দুটি এবং মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত জুন মাসে গেলাং পাতাহ এলাকায় তাদের মোবাইল ফোন থেকে আইএস সম্পর্কিত কনটেন্ট পাওয়া যায়।
তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ১৩০জেবি (১) (এ) ধারায় অভিযোগ আনা হবে। এ ধারার আওতায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড এবং অপরাধে ব্যবহৃত বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রাখা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে।
এর আগেও গত ২৮ জুলাই তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল অভিযোগপত্র পাঠের জন্য। কিন্তু ওই সময়ও বাংলা দোভাষীর অভাবে শুনানি স্থগিত হয়। এবারও একই কারণে শুনানি পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হারিয়ান মেট্রো।
এর পাশাপাশি, গত ৪ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মালয়েশিয়ায় ‘গেরাকান মিলিটান র্যাডিকাল বাংলাদেশ’ (জিএমআরবি) নামক একটি বিদেশি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এই গোষ্ঠী বৈধ উপায়ে দেশটিতে আসা বাংলাদেশি শ্রমিকদের লক্ষ্য করে উগ্রবাদী মতবাদ ছড়াচ্ছে এবং তাদের সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ত করছে।
বুলেটিন টিভি তিগা'র খবরে আরও বলা হয়, পুলিশ মহাপরিদর্শক দাতুক সেরি মোহদ খালিদ ইসমাইল জানিয়েছেন, এই চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আইএস মতাদর্শ প্রচার করছিল।