বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম দিন থেকেই বদলে যাবে বাংলাদেশ: আমীর খসরু

বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রথম দিন থেকেই দেশের প্রতিটি খাতে উন্নয়নে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং তথ্য প্রযুক্তিসহ সব গুরুত্বপূর্ণ খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিএনপি ইতোমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সভার সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুদ্দিন, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং পরিচালক (পিআরটিসি) অধ্যাপক ড. একেএম হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জুলাই আন্দোলনে আহত সিভাসুর ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত বিন জাহাঙ্গীর।

আলোচনায় আমীর খসরু আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ধ্বংস করে এককভাবে রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমাদের গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য মনমানসিকতা বদলাতে হবে, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে, ভিন্নমতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।”

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার সরকারের পতন অনিবার্য ছিল। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ নিগৃহীত হয়েছে, অবিচারের শিকার হয়েছে। ৬০-৭০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ গুম-খুন হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। গত ৫ আগস্ট আমি নিজেও কারাগারে বন্দি ছিলাম।”

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুর রহমান বলেন, “তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তোমরা যদি হেরে যাও, বাংলাদেশ হেরে যাবে। রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব, আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব তোমাদেরই নিতে হবে। তোমরাই গণতন্ত্রের স্থায়ী রূপ দিতে পারবে। সেটি সম্ভব হলে বাংলাদেশ হবে সুস্থ, সুন্দর, স্বাধীন ও নিরাপদ। তখনই জুলাই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।”