
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ক্রীড়াঙ্গনে ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। প্রতিটি কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং বিকেন্দ্রীকরণকে তিনি তার প্রধান এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। জেলা লীগসহ অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশকে সফট কমিটমেন্ট দিয়েছে এবং ৮টি বিভাগের মধ্যে ৮টি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৩টায় মুন্সীগঞ্জ থেকে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লা.লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “অবকাঠামোর দিকে আমি আগে থেকেই নজর দিয়েছি। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর ফুটবল ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা দ্রুত সময়ে ঢাকা স্টেডিয়ামের কাজ শেষ করেছি এবং চট্টগ্রাম ও নীলফামারীতে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছি। এছাড়া, বাফুফুকে আরও কিছু স্টেডিয়াম প্রদান করার চেষ্টা চলছে, যাতে ফুটবল কখনো থমকে না যায় বা আটকে না পড়ে।” তিনি আরও যোগ করেন, মাঠগুলোর পরিচর্যাও হচ্ছে, কারণ নিয়মিত খেলা না হলে মাঠগুলো ব্যবহৃত হতে পারে না এবং পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে মুন্সীগঞ্জ জেলা ফুটবল দল ও মাদারীপুর জেলা ফুটবল দল। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। এই ম্যাচে মুন্সীগঞ্জ জেলা ফুটবল দল ২-১ গোলে জয়লাভ করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, এই টুর্নামেন্টে দেশের ৬৪ জেলা দল অংশগ্রহণ করবে। জেলাগুলোকে আটটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতিটি বিভাগের নামকরণ করা হয়েছে জুলাই শহীদদের নামে। খেলা হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচের ভিত্তিতে। প্রথম পর্ব শেষে জয়ী ৩২টি দল দ্বিতীয় পর্বে স্থান পাবে। তৃতীয় পর্বে ১৬টি দল নির্বাচিত হবে এবং এরপর শুরু হবে নক আউট পর্ব। কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল ম্যাচটি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
এ আয়োজনটির সফল বাস্তবায়নে মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত আসরটি জমকালো করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। সার্বিক নিরাপত্তা ও আয়োজনটির সফলতা নিশ্চিত করতে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।