
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় ৯ মাস পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন। ইতোমধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি এলব্রিজ কোলবি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
হোয়াইট হাউস ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই ইউক্রেনে দুটি অস্ত্রের চালান পাঠাবে। প্রতিটি চালানে ৫০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকবে।
তবে এই অস্ত্রগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের মতো সামরিক সহায়তা হিসেবে পাঠানো হচ্ছে না। ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রগুলো কিনে কিয়েভে পাঠাচ্ছে এবং চালান পাঠানোর খরচও তারাই বহন করছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ‘প্রায়োরিটাইজড ইউক্রেন রিকোয়্যার লিস্ট (পার্ল)’ নামের এক নতুন সমঝোতার আওতায় ইউক্রেনে মোট ১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই সমঝোতার প্রথম চালানই এখন ইউক্রেনের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন এবং ইউক্রেনকে আর সামরিক সহায়তা অনুমোদন দেওয়া হবে না। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত ৯ মাসে তিনি সামরিক সহায়তা স্থগিত রেখেছেন এবং যুদ্ধ থামাতে একাধিকবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
এর মধ্যে গত ৯ মাসে ইউক্রেনে যে কয়েকটি মার্কিন অস্ত্রের চালান গেছে, তা আগেই অনুমোদন দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসন থেকে এবারই প্রথম অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন এল।
চালানে কী ধরনের অস্ত্র রয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। তবে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চালানে অন্যান্য অস্ত্রের পাশাপাশি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে, যা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে কিয়েভে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “পার্ল এর আওতায় কিয়েভের জন্য প্রচুর অস্ত্রের ফরমায়েশ দিয়েছে ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা। আমরা তাদের এ ফরমায়েশের তালিকা যাচাই করছি। তালিকায় থাকা অস্ত্রগুলোর মধ্যে যেগুলো মার্কিন নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ; কেবল সেগুলোই পাঠানো হবে কিয়েভে।”
সূত্র: রয়টার্স