
ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের টানা ১৩ দিনের সামরিক সংঘাতে ইসরায়েলের অন্তত ১৬ জন পাইলট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ইরানি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, এই জেনারেল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধ সম্পর্কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলেছেন।
রাহিম-সাফাভির ভাষ্য অনুযায়ী, সংঘাতের শুরুর দিকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে কিছু দুর্বলতা থাকলেও, কয়েকদিনের মধ্যেই তারা ঘুরে দাঁড়ায় এবং শেষ দিকে ইসরায়েলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, “যুদ্ধের প্রথম দুই-তিনদিন আমাদের দুর্বলতা ছিল। কিন্তু চতুর্থদিন থেকে ভারসাম্য পরিবর্তন হয়ে যায় এবং শেষ দিনগুলোতে আমাদের আধিপত্যই ছিল।”
জেনারেল আরও দাবি করেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এই যুদ্ধের ফলাফলে ইরানকেই বিজয়ী হিসেবে দেখছেন। তার মতে, ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল ইরানকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করা এবং সামরিক ও পারমাণবিক খাতকে দুর্বল করে দেওয়া, তবে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
তার ভাষায়, “যুদ্ধের সময় আমরা ইসরায়েলিদের কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং টার্মিনাল লক্ষ্য করে আঘাত হানি। এতে তারা নত হতে বাধ্য হয়।”
তিনি আরও জানান, ইরানের পাল্টা অভিযানে ইসরায়েলের ১৬ জনেরও বেশি পাইলট প্রাণ হারান। সেই সঙ্গে ইরানি হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ইসরায়েলকে প্রায় ৬০০ থেকে ৬৫০টি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হয়, যার ফলে তাদের মিসাইল শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ইরান এখন তার সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে “বিনা উস্কানিতে” হামলা চালায় বলে অভিযোগ তেহরানের। ওই হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা শুরু করে, যা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলে। অবশেষে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
সূত্র: মেহের নিউজ