
ইসকন ইস্যুতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেশকে অস্থির করার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সুপরিকল্পিতভাবে পতিত স্বৈরাচার শাসক দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। পতিত স্বৈরাচার শাসক তারা আবার ফিরে আসার পাঁয়তারা করছে দাবি করে-সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘ইসকন ইস্যুতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেশকে অস্থির করার চক্রান্ত চলছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে পতিত স্বৈরাচার দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে। ন্যূনতম সংস্কার করেই নির্বাচন দেয়া প্রয়োজন। অনৈক্য নয়, ঐক্য তৈরি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ফ্যাসিবাদ দূর হয়েছে। কিন্তু, তারা আবার ফিরে আসার চেষ্টা করবে, সেখানে যেন আমরা সে পথ তৈরি করে না দেই। আমরা সবাই এমন কাজ করছি যে, ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার পথ বহু এগিয়ে এসেছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা যেন হটকারী কিছু না করি। ইসকন ইস্যূতে নতুন করে পরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। অস্থির পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ওপর দাড়িয়ে থাকা সরকারকে ব্যর্থ করে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে, অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্বৈরাচারের দোসররা। লেখকদের মধ্যে যারা দোসরদের সহযোগী তাদেরও প্রতিহত করতে, গণতন্ত্রের পক্ষের লেখক-শিল্পীদের ঐক্যের বিকল্প নেই।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই করার কথা, সেই লেখক-শিল্পীরাও হাসিনাকে স্বৈরাচার হতে মদদ দিয়েছেন। শিল্পীদের সত্ত্বা বিক্রি করতে নেই। প্রতি অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে স্বৈরাচারীরা। চট্টগ্রামের ঘটনায় ফাঁদ ছিল। তবে, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকায় সফল হয়নি চক্রান্তকারীরা।’
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারের পর তার জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তার অনুসারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে খুন করা হয়।
এ ইস্যুতে গেল কয়েক দিন ধরে চলছে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা।