
অনেক চেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ১৯টি দেশের নাগরিকরা পড়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বিপুল সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করা সত্ত্বেও এসব দেশের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন অনিশ্চয়তার মুখে।
আফগানিস্তানের ২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বাহারা সাঘারি তালেবান সরকারের বাধার কারণে নিজ দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলেজে ভর্তি সুযোগ পেলেও ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার কারণে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। হতাশ সাঘারি বলেন, “যখন আপনি ভাবেন অবশেষে আপনার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে, তখন কিছু একটা এসে যেন সবকিছু শেষ করে দেয়।”
তার মতোই একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন ইরানের ১৭ বছর বয়সী পুয়া কারামি এবং মিয়ানমারের ১৮ বছর বয়সী গু গু। কারামি যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান গবেষণায় যুক্ত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তার সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়। অন্যদিকে, গৃহযুদ্ধ কবলিত মিয়ানমারের শিক্ষার্থী গু গু যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার মাধ্যমে নতুন জীবন শুরু করতে চাইলেও সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক শিক্ষার্থীকে ভিসা প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা যাচাইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ফলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও সময়মতো ক্লাস শুরুর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি বিশেষ করে ওই ১৯টি দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর এই ১৯টি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র ইরান ও মিয়ানমারের শিক্ষার্থীদেরই অর্ধেকের বেশি ভিসা অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে শিক্ষার সুযোগ খুঁজছেন, আবার কেউ মার্কিন সরকারের ভিসা নীতিতে পরিবর্তনের আশায় অপেক্ষা করছেন।
সূত্র: এবিসি নিউজ