
খাগড়াছড়ি জেলা কারাগার থেকে দুই হাজতি পালানোর ঘটনায় দায়িত্বে থাকা ছয় কারারক্ষীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেল সুপার শাহাদত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত করা কারারক্ষীরা হলেন মো. রবিউল, পুল্টন চাকমা ও সাইফুল ইসলাম। অপর দিকে সুবেদার মোতালেব হোসেন, প্রধান রক্ষী মো. মির হোসেন ও কারারক্ষী মো. ইয়াছিনের নামে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার পর চট্টগ্রাম ডিআইজি প্রিজন সগির ভূইয়া সোমবার খাগড়াছড়ি জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন।
জেল সুপার মো. লাভলু খাগড়াছড়ি সদর থানায় বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার শাহাদত হোসেন জানান, তিন হাজতি দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় একজনকে কারাগারের ভেতরে আটক করা সম্ভব হয়, কিন্তু বাকি দুইজন দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়। পরে শহরের টিএনটি গেট এলাকা থেকে পালাতক রাজিব হোসেনকে আটক করা হয়। অপর হাজতি শফিকুল ইসলাম এখনও পলাতক রয়েছেন এবং তাকে ধরার জন্য অভিযান চলছে।
পলাতক দুই হাজতির কারাগার ত্যাগের ঘটনা ঘটেছিল গতকাল বিকেল ৫টার দিকে, কারাগারের দক্ষিণ প্রান্তের দেয়ালের পাইপ ব্যবহার করে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
চট্টগ্রাম ডিআইজি প্রিজন সগির ভূইয়া কারাগার পরিদর্শনকালে বলেন, “কারারক্ষীদের গাফিলতি ছাড়াও কারাগারের পুরনো কাঠামোগত দুর্বলতাই এই ঘটনার মূল কারণ। তদন্ত চলছে, ইতোমধ্যে তিন কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১৯৬৪ সালে নির্মিত এই সাব-জেলের কাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল অনেক আগেই। খুব শিগগিরই আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কারাগার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”