
কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমানের অপসারণ ও ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং ফাঁসির দাবিতে থানা ঘেরাও করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ভুন্দুরচর ও চরনতুন বন্দর এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে থানার দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলকারীরা থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে ওসি ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। পরে তারা থানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন এবং ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে একই এলাকা থেকে একটি অন্য মিছিল উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে রৌমারী থানার সামনে গিয়ে জড়ো হয়। সেখানেও পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা গেটে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি ছিল—ট্রিপল মার্ডারে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং বর্তমান ওসিকে অপসারণ করতে হবে।
নিহত নুরুল আমিনের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, "আমার ছেলে নুরুল হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পুলিশ আসামি ধরতে গাফিলতি করছে। আমি এ ওসির অপসারণ চাই।"
নিহত বুলু ও ফুলু মিয়ার ভাই শাহাজালাল বলেন, "আমি এক মাস আগে অভিযোগ করেছি, রৌমারী থানার ওসি কোনো পদক্ষেপ নেননি। তখন ব্যবস্থা নিলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। এখনো মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মো. লুৎফর রহমান বলেন, "থানায় আমাদের কাছে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আসছিল। তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।" তবে তিনি থানা ঘেরাওয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রৌমারী উপজেলার ভুন্দুর চর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন এবং আহত হন আরও কয়েকজন। নিহতরা হলেন—আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন, গোলাম মিয়ার ছেলে বুলু মিয়া এবং ফুলবাবু।