
হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করায় রাতের গভীরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ২টা ৫২ মিনিটে গুলশানের ফিরোজা ভবনে ফেরেন তিনি।
এর আগে রাত ১টার কিছু পর ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, “মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু টেস্টের জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।”
বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তার চিকিৎসা নিয়ে অতীতেও রাজনৈতিক বিতর্ক ছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি কারাবন্দি অবস্থায় দীর্ঘকাল চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন বারবার নাকচ হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে যায়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি।
১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি ছেলের বাসায় ওঠেন কিংস্টনে। ছাড়পত্র দেওয়ার সময় চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তার বয়স বিবেচনায় এখনই লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।
তিন মাস পর, গত ৬ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবেই তার বুধবার রাতের এই হাসপাতাল যাত্রা বলে চিকিৎসকেরা জানান।