
ইউক্রেনের সাবেক স্পিকার আন্দ্রি পারুবিকে শনিবার (৩০ আগস্ট) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লভিভে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীকে আটক করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান শুরু করেছে।
দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তর জানিয়েছে, হামলাকারী একাধিক গুলি করে পারুবিকে হত্যা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময়ই তার মৃত্যু ঘটে।
৫৪ বছর বয়সী আন্দ্রি পারুবি ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনের পার্লামেন্টের স্পিকার ছিলেন। ২০১৩-১৪ সালে ইউক্রেনের গণবিক্ষোভে তিনি অন্যতম নেতা ছিলেন এবং ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করার জন্য আজীবন প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এছাড়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়, এর পর রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়াকে দখল করে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত তার হত্যাকাণ্ডের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে এটিকে 'ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি এক্সে পোস্ট করে লিখেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লাইমেনকো এবং প্রসিকিউটর জেনারেল রুশলান ক্রাভচেঙ্কো লভিভে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তথ্য দিয়েছেন। আন্দ্রি পারুবি নিহত হয়েছেন। তার পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে।”
এদিকে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা ও যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ চলছিল। তবে পশ্চিমাপন্থি নেতার হত্যাকাণ্ডের সাথে যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা এখনো পরিষ্কার হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স