
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলার ঘটনায় প্রশাসনের অসহায়তার কথা তুলে ধরে সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।
রোববার দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের নিচতলায় কান্নারত অবস্থায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের তারা মেরেছে। আমরা মেডিকেলে জায়গা দিতে পারছি না। চিটাগাং মেডিকেলে ৪-৫টা গাড়ি পাঠিয়েছি। সেখানে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত আছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোন জগতে আছি। ছাত্রলীগের বড় বড় ক্যাডাররা এখানে ঢুকে হেলমেট পরে ছাত্রদের মারধর করছে। পুলিশ নাই, কোনো কিছু নাই। আমরা সিওসির সঙ্গে কথা বলেছি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে কথা বলেছি, দুই ঘণ্টা চলে গেছে এখনো এখানে কেউ আসে নাই।”
শনিবার রাতে এক বাসার দারোয়ান এক ছাত্রীকে মারধর করলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। এরপর থেকে সংঘর্ষে অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে গিয়ে রোববার স্থানীয়দের ধাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফকে মেডিকেলে নেওয়া হয়। উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) শামীম উদ্দিন খানও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, রামদা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় বাসা ও মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের ঘরে ঢুকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। এমনকি এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে একতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু কাওসারকে ফোন দিলে তিনি কল কেটে দেন।