
ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা জীবন দিয়েছেন একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে। তাঁর দাবি, প্রচলিত নির্বাচন ব্যবস্থা কালো টাকা, পেশিশক্তি ও ভোট কারচুপির পথ খুলে দেয়, যা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি তৈরি করছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনি পিআর (ভোটের অনুপাত ভিত্তিক) নির্বাচনী পদ্ধতি চালুর ওপর জোর দেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর। অনুষ্ঠানে সংগঠনটি সাত দফা প্রস্তাবনা ঘোষণা করে। এর মধ্যে ছিল—শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের আইনিভিত্তি, নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং চাঁদাবাজি বন্ধ।
ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রেখে চরমোনাই পীর বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটের মাধ্যমে জনগণের পিআর চাওয়ার ইচ্ছা জানতে পারে। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।”
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেন, মৌলবাদ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য আর তারেক রহমান ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যারা বর্তমানে মৌলবাদকে সমালোচনা করেন, তারাই অতীতে ডানপন্থীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।