
বরগুনার পাথরঘাটায় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এক জামায়াত কর্মীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ৯টার দিকে পাথরঘাটা শহরে বাজার রোডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জামায়াতকর্মী মো. নাসির উদ্দিন (৩৫) বর্তমানে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌরসভা চত্বরে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈমের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক বসে। কিন্তু সালিশ চলাকালে ছাত্রদলের কিছু কর্মী দেশীয় অস্ত্র হাতে মোটরসাইকেল নিয়ে শহরে মহড়া দেয়। এরপর জামায়াত নেতা মাওলানা বজলুর রহমানের ওষুধের দোকানে হামলা চালানো হয়। দোকানে থাকা নাসির উদ্দিন হামলাকারীদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে রাত ১১টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। বক্তারা হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেন।
পাথরঘাটা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এসমাইল সিকদার বলেন, ছাত্রী উত্ত্যক্তকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং সন্ধ্যার পর থানায় সালিশ চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা নাসির উদ্দিনকে কুপিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা থানার ওসি।