নির্বাচনকে ঘিরে ৪৮ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের নিবিড়ভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৩৪ জন পুলিশ সদস্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দায়িত্ব পালনে পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রতিটি সদস্যকে দক্ষ ও শৃঙ্খল পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

আগস্টের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে ‘ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স (টিওটি)’ কোর্স। সেই কোর্সে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারাই এখন মাঠপর্যায়ের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের কাজ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তাই প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্বে প্রস্তুত করাই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।

আইজিপি নির্বাচনী প্রশিক্ষণের পুরো প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে তদারকি করছেন। সম্প্রতি তিনি রাজশাহী ও বগুড়ায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত।

পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডিআইজি কাজী জিয়া উদ্দিন জানান, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারই প্রথম এত বৃহৎ পরিসরে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় এই কার্যক্রম চলছে, যার মধ্যে রয়েছে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, একটি সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র এবং একটি বুকলেট।

তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ের সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ১৯টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১ হাজার ২৯২ জন মাস্টার ট্রেইনার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষকরা পরবর্তীতে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।

সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাস্তবভিত্তিক মহড়াও পরিচালিত হবে।