
নেপালের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। তবে সেনাপ্রধান ব্যবসায়ী-রাজনীতিক দুর্গা প্রসাই এবং রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টিকে (আরএসপি) আন্দোলনের অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৈঠক ত্যাগ করেন তারা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নেপালি গণমাধ্যম মাই রিপাবলিকা এ খবর প্রকাশ করে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রক্ষা বম নামের এক কর্মী সেনা সদরদপ্তরে বৈঠকে যান। পরে বৈঠক থেকে সরে এসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, সেনাপ্রধান আমাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক এবং দুর্গ প্রসাদ ও আরএসপির সঙ্গে আলোচনা করতে বলেছেন। তিনি নিজেই তাদেরকে আন্দোলনের অংশীদার বলেছেন। আমরা মনে করি এটি জেন-জির আন্দোলনে আমাদের ত্যাগ এবং দেশ পরিবর্তনের ঐতিহাসিক যাত্রাকে খাটো করেছে। তাই আমরা সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা ত্যাগ করে সেনা সদরদপ্তর থেকে বেরিয়ে গেছি আমাদের পরবর্তী আলোচনার জন্য।
এর আগে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের চাপে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। তার পদত্যাগের পর আন্দোলনকারীরা কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করার আহ্বান জানালেও শাহ সাড়া দেননি।
এ কারণে এখন তারা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে নতুন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
বুধবার প্রায় পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারী একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে দেশের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে সুশীলা কার্কির নাম সবচেয়ে বেশি সমর্থন পায়।
এক বিক্ষোভকারী নেপালি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বালেন্দ্র শাহ যেহেতু আমাদের ডাকে সাড়া দেননি, তাই আমাদের আলোচনা অন্য নামের দিকে গেছে। বেশিরভাগই সুশীলা কার্কির নাম সমর্থন করেছেন।
তবে আলোচনায় কেবল কার্কির নাম নয়, আরও কয়েকজন সম্ভাব্য নেতার নাম উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রধান কুলমান ঘিসিং, তরুণ নেতা সাগর ঢাকাল এবং ধারানের মেয়র হার্কা সামপাং।