
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জয় পাননি ছাত্রদল নেতা শেখ তানভীর বারী হামিম। তবে ফলাফল মেনে নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ফল ঘোষণার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় হামিম লেখেন, আজকের ভোটানুষ্ঠান সার্বিকভাবে উৎসবমুখর হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে গণনার ক্ষেত্রে মেশিনের ত্রুটি, জালিয়াতি ও কারচুপি লক্ষ্য করেছি।
তিনি আরও লিখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন এটিই তাদের রায়, তবে আমি সেই রায়কে সম্মান জানাই। আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমি বরাবরই আপনাদের ভালোবাসায় ঋণী। আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং যতদিন থাকবো আপনাদের পাশেই থাকবো।
তার এই ভদ্র প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝরছে প্রশংসার বন্যা। শাহ আলম নামে একজন লিখেছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত। এটাই নতুনত্ব, এটাই জুলাইয়ের চেতনা।
সাদিকুর রহমান মন্তব্য করেন, আপনার কাছে থেকে এটাই প্রত্যাশিত ছিল ভাই। এবার হলো না, কিন্তু একদিন আপনি অনেক বড় নেতা হবেন।
মিলন হাসান স্বাধীন লেখেন, সহনশীলতাই নেতার গুণাবলি, যা আমরা আপনার মধ্যে দেখলাম।
আরেকজন মোহাম্মদ মিলন মন্তব্য করেন, আজিজুল বারী ভাইয়ের ভাতিজা বলে কথা! খানদানী বংশের খাঁটি রাজনীতিবিদ।
এছাড়া ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ কমেন্ট করে লেখেন, That’s the kind of gesture a true leader makes. তার এই মন্তব্যে পড়েছে ১১ হাজার রিঅ্যাক্ট।
অন্যদিকে সারজিস আলম লিখেছেন, Our Future Leader.এ কমেন্টে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার রিঅ্যাক্ট জমা হয়েছে।
এভাবে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা হামিমকে সাহস জুগিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তার সহনশীলতা ও ইতিবাচক মনোভাবের জন্য।