
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চর দখলকে কেন্দ্র করে আলাউদ্দিন ও সামছু বাহিনী-এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এখনও এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়নি। নিহতদের মধ্যে আলাউদ্দিনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, তবে সামছু বাহিনীর প্রধান ‘কোপা সামছু’ নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে হাতিয়া থানা থেকে নিহত চারজনের মরদেহ ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে আলাউদ্দিন বাহিনীর নেতা আলাউদ্দিনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য হস্তান্তর হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছেন সামছুদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন সিহাব (২৩)।
নিহতদের মধ্যে বাকিরা হলেন:
মো. আলাউদ্দিন (৩৫), সুখচর ইউনিয়নের চর আমানউল্যাহ গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে
কামাল উদ্দিন (৪০), চানন্দী ইউনিয়নের নলের চরের সেকু মিয়ার ছেলে
হক সাব (৫৫), হাতিয়া পৌরসভার পশ্চিম লক্ষিদিয়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে
আবুল কাশেম (৬২), সুবর্ণচর উপজেলার দক্ষিণ চর মজিদের জয়নাল আবেদিনের ছেলে
সামছুদ্দিনের স্ত্রী মাহফুজ বেগম জানিয়েছেন, তার ছেলে ও স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার পর সামছুর মরদেহ গুম করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাতিয়া থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, নিহতদের পরিবারের কেউ এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে পুলিশ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবে। পরিবারের কেউ অভিযোগ না দিলে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। সামছুদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কেও পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে সুখচর ইউনিয়নের জাগলার চর-এর দখল নিয়ে আলাউদ্দিন ও সামছু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন নিহত ও ১০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বাহিনীর নেতা সামছুদ্দিন/কোপা সামছু এখনও নিখোঁজ। সংঘর্ষের পর এ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।