
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন সংকটের মূল কারণ চিহ্নিত করে এর দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে এমন একটি সমাধান প্রয়োজন যা দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) চীনের উত্তরাঞ্চলীয় তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) ২৫তম শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
সম্মেলনে ভাষণে তিনি দাবি করেন, কিয়েভকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যুক্ত করার প্রচেষ্টাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মূল কারণ। তার ভাষায়, “এ ধরনের প্রচেষ্টা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।”
পুতিন দাবি করেন, এই সংকট আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়নি; বরং এটি কিয়েভে পশ্চিমা সমর্থনে সংঘটিত এক অভ্যুত্থানের ফল। তিনি বলেন, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে ইউক্রেন সংকটের সমাধান দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হয় এবং এর জন্য মূল কারণগুলো সমাধান করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় মুখোমুখি বৈঠকে যেসব বিষয় আলোচনা হয়েছে, তা তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন। পুতিনের ভাষ্য, ওই আলোচনাকে তিনি ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে চীন ও ভারতের দেওয়া প্রস্তাবগুলো রাশিয়া গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
এছাড়া এসসিও সম্মেলনের পাশাপাশি সোমবার পুতিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে তথাকথিত “বিশেষ সামরিক অভিযান” শুরু করে। এর পর থেকে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ ইউক্রেন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।