
পুলিশ বাহিনীসহ র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে। সোমবার (১৯ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এর প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর মূল পোশাকই পরিধান করবে বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা। আগের মতো আর ইউনিট অনুযায়ী আলাদা পোশাক থাকবে না।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
পুলিশের পোশাকের সঙ্গে কি ডিএমপির পোশাকও বদলাচ্ছে, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশসহ র্যাব ও আনসারের পোশাক বদলাচ্ছে। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিন বাহিনীর জন্য আলাদা পোশাকের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে। তবে বাহিনী হিসেবে পুলিশের পোশাক বদলালেও ইউনিটে তা বদলাচ্ছে না। যা আছে তা-ও থাকছে না। অর্থাৎ বদলে যাওয়া নতুন পোশাকই পরিধান করবে পুরো বাহিনীর সদস্য। আমরা সবাই একই পোশাক পরব।’
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘পুলিশের দুই লাখ সদস্য আছে। এ ছাড়া, ১৯ হাজার সিভিল স্টাফও আছে। বিভিন্ন ইউনিটে আগে পোশাকের ভিন্নতা ছিল। এটি কার্যকর হওয়ার পর আর বিভিন্ন ইউনিটে পোশাকে কোনো ভিন্নতা থাকবে না।’
ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিক রিক্সা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিক্সার সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে সামনের দিনগুলোতে আর ঘর থেকে বের হতে পারব না। মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহনসহ বিভিন্ন জায়গায় একই কথা বলছি। রিক্সা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমিই বেশি কথা বলছি। চিঠিও দিয়েছি। কীভাবে লাইসেন্স দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, ট্যাক্স আদায় করা যায় এবং একই সঙ্গে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।’
সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এটা সত্য যে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকজন এটাকে ইনকামের সোর্স বানিয়েছে। সব শহরেই টেক্সি আছে। তারা কিন্তু সংখ্যা বৃদ্ধি করেনি। বরং, এর লাইসেন্স খরচা অনেক বেশি। কিন্তু, আমাদের ব্যাটারিচালিত রিক্সা বাড়ছে। এটা নিয়ন্ত্রণে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের সড়ক, শহরের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী এর নিয়ন্ত্রণমূলক অনুমোদন দিতে পারি। আমরা ১০০ বা ২০০ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকভাবে লাইসেন্স ফি নির্ধারণের কথা বলেছি। এটা থাকলে বোঝা যাবে কোনটা বৈধ আর কোনটা বৈধ। কোনটা ঢাকার আর কোনটা ঢাকার বাইরের।’
তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সের আওতায় আনতে না পারলে কিন্তু কোনোভাবেই ব্যাটারিচালিত রিক্সা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আমাদের সেই জায়গায় যেতে হবে। কোনো দেশে এটা সম্ভব নয় যে, আপনি রাস্তা ব্যবহার করবেন কিন্তু ট্যাক্স দেবেন না।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের নবনির্বাচিত সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ-সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এমএম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, নির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ জাকারিয়া।
ডিএমপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান ও উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) শাহ মো. আব্দুর রউফ, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জাহাঙ্গীর কবির।