
ফরজ ইবাদতের বাইরে নফল আমল করার সুযোগ অনেকের জন্যই সীমিত। তবে কিছু সহজ আমল রয়েছে, যেগুলো অল্প সময়েই সম্পন্ন করা যায়, অথচ এর বিনিময়ে পাওয়া যায় বিপুল সওয়াব। এমনই একটি আমল হলো সুরা ইখলাস তিলাওয়াত।
মাত্র চার আয়াতের এই সুরা কাওসারের পর কুরআনের সবচেয়ে ছোট সুরা। কিন্তু এর ফজিলত অসংখ্য।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তা-ই যথেষ্ট (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)।
রাসূল (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক এবং কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন তিনি দুই হাত একত্র করে তাতে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর হাত দিয়ে শরীর যতটুকু সম্ভব মুছতেন। তিনি এ কাজ তিনবার করতেন (বোখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)।
অন্য এক হাদিসে হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাতভর বারবার সুরা ইখলাস পড়ছিলেন। সকালে বিষয়টি জানানো হলে নবি (সা.) বলেন, “ওই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, নিশ্চয়ই এ সুরা কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান (বোখারি : ৫০১৩)। অর্থাৎ একবার পাঠ করলে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। আর তিনবার পড়লে পুরো কুরআন পাঠের সমান সওয়াব লাভ হয়।
নবি (সা.) আরও বলেছেন, সুরা ইখলাস জান্নাত লাভের উপায়। এক সাহাবি যখন রাসূল (সা.)-কে জানালেন যে তিনি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসেন, তখন রাসূল (সা.) বললেন, “এ ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে” (বোখারি : ৭৭৪)।