
দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি অটল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু। একইসাথে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সকল ভেদাভেদ ভুলে বিজয় ছিনিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
২৩৭ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “আমি সাহাব উদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতি করছি। বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে আমি আপনাদের যে ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন পেয়েছি তার জন্য কৃতজ্ঞ। আপনাদের সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি করতে চাই, সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি জীবনে আমরা অনেক সময় বঞ্চিত হই, কিন্তু মহান আল্লাহ আমাদের জন্য যা উত্তম সেটাই নির্ধারণ করেন। তাই দলের সিদ্ধান্ত আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে মেনে নিতে হবে। বিএনপি আমাদের আবেগ, আমাদের শেষ ভরসা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মা।”
দলের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, “বিএনপির সিদ্ধান্ত আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধুবাদ জানাই। পাওয়া না পাওয়ার হিসাব পরে, প্রিয় সংগঠনকে ভালো রাখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মান-অভিমান থাকলেও দলের স্বার্থে আমরা সবাই এক এবং অবিচ্ছিন্ন।”
লক্ষ্মীপুরের বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানকে বিজয় উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।”
সাহাব উদ্দিন সাবু জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দল যাকে যে আসনে মনোনয়ন দিয়েছে, তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী প্রতিটি নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নেতাকর্মীদের মনে রাখতে হবে আমাদের চারপাশে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না যাতে করে প্রতিপক্ষ আমাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।”
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাহাব উদ্দিন সাবুর এই বক্তব্যে বিএনপির অভ্যন্তরে ঐক্য ও নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন ঘটেছে।