
নেপালে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জেন-জি প্রজন্মের বিক্ষোভ তীব্র আকার নেওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। এই অস্থিরতার মধ্যেই বেশ কয়েকজন মন্ত্রী দেশ ছাড়েছেন। পালানোর সময় নেপালের অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পৌডেলকেও রাস্তায় ধাওয়া করতে দেখা গেছে।
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্র-জনতা বিক্ষোভরত অবস্থায় অর্থমন্ত্রীকে সামনা সামনি পেয়ে একজন বিক্ষোভকারী ফ্লাইং কিক মারেন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে অন্য একজন বিক্ষোভকারী অনুরোধ করলে অর্থমন্ত্রী নিরাপদে সরতে সক্ষম হন।
সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার নেওয়ায় দেশটির সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভাইজেপাতি থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিরাপদ স্থানে সরাচ্ছে। কাঠমান্ডু পোস্ট মঙ্গলবার এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রীদের বাসভবন থেকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের ঠিক কোথায় নেওয়া হচ্ছে তা প্রকাশ করা হয়নি। আন্দোলনকারীরা ভাইজেপাতির মন্ত্রিসভার বাসভবনগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন।
সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট ভবন রক্ষার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সামরিক ঘাঁটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় সোমবার, যখন ফেসবুক, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে এই প্রতিবাদ রূপ নেয় তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলনে। পার্লামেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশে নেতৃত্ব দেন মূলত জেন-জি প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা।
পুলিশের দমন-পীড়নের ফলে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত এবং ৪০০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।