
নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন জি, এখন নেতৃত্বে দেখতে চাইছে এক ভিন্নধারার মুখ কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহকে। র্যাপার থেকে রাজনীতিতে আসা এই তরুণ নেতা দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় সিনেমা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুবসমাজের কাছে ‘স্বপ্নের নেতা’তে পরিণত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে দেশজুড়ে হওয়া বিক্ষোভে অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারান। এ পরিস্থিতির জেরে গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর থেকেই বিক্ষুব্ধ তরুণরা নতুন নেতৃত্ব হিসেবে সামনে আনছেন বালেন্দ্র শাহকে, যিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ‘বালেন’ নামে।
রাজনীতিতে আসার আগে বালেন ছিলেন আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপার, গীতিকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার। তার লেখা ও গাওয়া জনপ্রিয় গান ‘বলিদান’ দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় গানটি আবার আলোচনায় আসে এবং মুহূর্তেই মিলিয়ন ভিউ স্পর্শ করে।
২০২২ সালে স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচনে জয় পান বালেন, যা প্রচলিত রাজনীতির বাইরে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। এক বছর পর, ২০২৩ সালে, ভারতীয় সিনেমা ‘আদিপুরুষ’–এ সীতাকে ভারতের কন্যা হিসেবে উপস্থাপনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরিচালককে সংলাপ পরিবর্তনের আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষিত হলে, কাঠমান্ডুর সব প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেন তিনি।
তরুণ প্রজন্ম এ সিদ্ধান্তকে জাতীয় আত্মমর্যাদা রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে দেখেছিল। ফলে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। এখন প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের পর নেপালের তরুণদের কণ্ঠে একটাই নাম বালেন, অর্থাৎ বালেন্দ্র শাহ।