
গণআন্দোলনের চাপের মুখে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর রাজধানী কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও, তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগাযোগে সাড়া দেননি। এ কারণে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া জেন-জির বিক্ষোভকারীরা দেশের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করেছেন।
কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রায় ৫ হাজার বিক্ষোভকারী অংশ নেন। বৈঠকে দেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা হয় এবং সুশীলা কার্কির নাম বেশিরভাগের সমর্থন পায়।
এক বিক্ষোভকারী নেপালি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বালেন্দ্র শাহ আমাদের ডাকে সাড়া দেননি। তাই আলোচনাটি অন্য নামের দিকে এগিয়েছে। বেশিরভাগেই সুশীলা কার্কির নামের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।”
ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও কয়েকজনের নাম আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে রয়েছেন—দেশের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রধান কুলমান ঘিসিং, তরুণ নেতা সাগর ঢাকাল এবং ধারান শহরের মেয়র হার্কা সামপাং। এছাড়া ‘র্যান্ডম নেপালি’ নামে এক ইউটিউবারও দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব পেতে পারেন, তবে তিনি জানিয়েছেন, অন্যদের যদি দায়িত্ব নিতে অক্ষমতা প্রকাশ করে, তখনই তিনি পদ গ্রহণ করতে রাজি।
তবে সুশীলা কার্কির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ দীর্ঘ এবং জটিল। প্রস্তাব গ্রহণ করলে তাকে প্রথমে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের অনুমতি নিতে হবে, এরপর প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের সম্মতি প্রয়োজন।
গতকাল কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর নেপালে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়েছেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী নিহত হয়েছেন। চলমান আন্দোলনে মোট ২৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে