
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন হত্যা ও বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দ্বিতীয় দফার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হয়। ওই সময় তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ কয়েক ঘণ্টা ধরে লিমনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জবানবন্দিতে লিমন মিয়া জানিয়েছেন, তিনি বিচারকের পরিবারের সঙ্গে পূর্বপরিচিত হলেও নানা কারণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এক সপ্তাহ আগে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার তার বিরুদ্ধে সিলেটের একটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ক্ষোভ থেকেই লিমন পরিচয় গোপন করে এবং বিচারকের ভাই পরিচয় ব্যবহার করে তাদের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন।
লিমন আরও জানিয়েছে, বাসায় ঢোকার পর তাসমিন নাহার পুলিশে ফোন করার চেষ্টা করলে প্রথমে তিনি তাকে ছুরিকাঘাত করেন। বাধা দেওয়ায় ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকেও ছুরিকাঘাত ও কামড় দেন।
রাজশাহী মহানগর কোট পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, “লিমনকে আদালতে হাজির করা হয়, তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় এবং পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।”