যশোর-নড়াইল মহাসড়কের ভাঙ্গুড়া বাজার এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা, পুলিশের উপ-পরিদর্শক এবং আরও একজন নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১১টার দিকে ঢাকা থেকে যশোরগামী যাত্রীবাহী ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন: নড়াইলের লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক নিক্কন আঢ্য (৩৫), জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর (৪০), যশোর সদরের ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে, যশোর সদরের বসুন্দিয়া গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৪৮)।
নড়াইল তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, আবু জাফর ও আক্তার হোসেনের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিক্কনের মরদেহ নড়াইল মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি আরও বলেন, সোমবার নড়াইল পুলিশ লাইন্সে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিক্কন আঢ্যের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া পুকুরিয়ায় নেওয়া হবে। দুপুরে সেখানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নড়াইল তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই রবিউল আলম জানান, ঢাকা থেকে যশোরগামী বাসটি ভাঙ্গুড়া বাজারে দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। বাসের সামনের কাঁচ ভেঙে ট্রাকে থাকা বাঁশের সঙ্গে আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে। আক্তার হোসেনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আবু জাফর ও নিক্কন আঢ্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিক্কনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার পথে নড়াইল হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
নিক্কন আঢ্য’র বাবা নিশিকান্ত আঢ্য জানান, তার ছেলে মুন্সিগঞ্জে সাক্ষী দিতে গিয়েছিলেন। আদালতের কাজ শেষে তিনি নড়াইলে ফিরছিলেন। নিহত বাকি দু’জনও একই বাসে যশোরে যাচ্ছিলেন।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জুবায়ের আহমেদ জানান, আবু জাফর হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়।
যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমীর ফয়সাল বলেন, “জাফর স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক। যশোর জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার সম্ভাবনা রাখতেন।”