
রাজধানীর পুরান ঢাকার আদালত এলাকা থেকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত তারিক সাঈদ মামুনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিলকিস আক্তার সূত্রাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় কোনো নাম প্রকাশিত হয়নি; অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সুত্রাপুর থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা যায়।
পুলিশ বলছে, রনি নামে একজন ব্যক্তি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। রনির নির্দেশে মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ ওরফে পিয়াস দু’জন দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মামুনকে হত্যা করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
হত্যাকাণ্ডের পরদিনই ডিবি পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল (৩৮), রবিন আহম্মেদ ওরফে পিয়াস (২৫), মো. রুবেল (৩৪), শামীম আহম্মেদ (২২) ও মো. ইউসুফ জীবন (৪২)। তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল এবং গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র আইনে মোহাম্মদপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় বর্তমানে তারা ডিবি পুলিশের চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। পুলিশ জানায়, ফারুক ও রবিন মোট ১০ রাউন্ড গুলি করে মামুনকে হত্যা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ফটকের বাইরে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে মামুনকে গুলি করা হয়। আদালতে হাজিরা শেষে বের হওয়ার সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও শুটাররা পেছন থেকে লক্ষ্যভেদ করে গুলি চালান। সিসিটিভি ফুটেজে এ দৃশ্য ধরা পড়ে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্ব এবং দুই লাখ টাকার একটি চুক্তির ভিত্তিতে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।