.png)
মাশিকুর রহমান একজন উদীয়মান শিল্পী, তিনি মূলত নিজেকে পরিচয় দেন, সোলো আর্টিস্ট হিসেবে। তিনি শিখছেন, নতুন নতুন সৃষ্টি করছেন। এই শেখা আর সৃষ্টির যাপনের ভিতর তিনি অ্যালবামে সংকলিত করেছেন আত্মজ কিছু সঙ্গীত। গানের সংকলনের এই অ্যালবামগুলো তার নিজের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। মাশিকুর রহমান নিজেকে যেভাবে দেখেন, যেভাবে পরিচয় দেন- ঠিক সেভাবেই হুবহু তার বক্তব্যই তুলে দেওয়া হলো-
সঙ্গীতের ক্ষেত্রে আমার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হলো একজন সোলো আর্টিস্ট হিসেবে নিজের সৃষ্টিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমার কাজকে আমি পপ (Pop), মেলো রক (Rock) এবং ফাঙ্ক (Funk) এই তিনটি জঁনরার মিশ্রণে সাজিয়েছি, যার মধ্যে ফাঙ্ক ট্র্যাকগুলো শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত আমার বাংলা গানটি হলো 'তবু' ('Tobu'), যা শ্রোতাদের কাছে আমার এই বহুমুখী সোলো পরিচয়ের এক ঝলক তুলে ধরেছে।
আমার সঙ্গীত যাত্রায় প্রথম এবং প্রধান প্রেরণা হলেন কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চু। তাঁর গান ও গিটার আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। সময়ের সাথে সাথে গিটারের ক্ষেত্রে ওনি হাসান এবং আরও অনেক ব্যান্ডও আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, এবং বেস গিটারের অনুপ্রেরণা হলেন কিংবদন্তী বেসবাবা সুমন, যা আমার বাদ্যযন্ত্র বাজানোর দক্ষতা এবং স্টাইলকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় আমি বর্তমানে সরকারি সঙ্গীত কলেজের (Government Music College) ফাইনাল ইয়ারে বি.এ. অনার্স (B.A. Honours in Music) অধ্যয়নরত। হাতে-কলমে শেখার ক্ষেত্রে, আমি গিটার এবং বেস বাজাই, টুকটাক কীবোর্ডও বাজাতে পারি। আমার মূল দক্ষতাগুলোর মধ্যে রয়েছে মিউজিক প্রোডাকশন এবং সাউন্ড মিক্সিং-মাস্টারিং, যা আমার সোলো কাজকে স্বাধীনভাবে রূপ দিতে সাহায্য করে।
পারিবারিক সমর্থন ও স্টুডিও
আমার সঙ্গীত যাত্রায় সবচেয়ে বড় ভিত্তি হলো আমার পিতা-মাতার নিঃশর্ত সমর্থন। তাঁদের সমর্থনই প্রধান কারণ যে আজ আমার নিজস্ব একটি স্টুডিও আছে এবং আমি পুরোপুরি সঙ্গীতে মনোনিবেশ করতে পেরেছি।
বর্তমান কর্মব্যস্ততা ও শো
বর্তমানে আমি নিয়মিত বিভিন্ন শোতে পারফর্ম করছি। একজন মিউজিক প্রোডিউসার হিসেবে শতাধিক সোলো আর্টিস্ট ও ব্যান্ডের সাথে কাজ করেছি। পাশাপাশি, আমি প্রীতম হাসান, পান্থ কানাই, শাওন গানওয়ালা, মাশা ইসলাম, জেফার, তানভীর ইভান সহ বেশ কিছু শিল্পীর লাইভ শোতে বেস এবং ভোকাল বাজানোর মাধ্যমেও যুক্ত থাকি। কাজের ব্যস্ততা বাড়লেও, বন্ধুদের সাথে আড্ডা এখন আগের মতো দেওয়া হয় না; তবুও সন্ধ্যায় একটু চা খাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গে বের হই, যা আমাকে সতেজ রাখে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা হলো আমার দ্বিতীয় অ্যালবাম 'জীবন' ('Jibon') মুক্তি দেওয়া। এই অ্যালবামটি আমার প্রথম অ্যালবাম 'স্নিগ্ধো' ('Snigdho')-এর পরে আমার সঙ্গীতযাত্রার পরবর্তী ধাপ। 'জীবন' অ্যালবামের চারটি ট্র্যাক ইতিমধ্যেই সিঙ্গলস হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে এবং বাকি কাজগুলোও দ্রুত আসছে। একজন সোলো আর্টিস্ট হিসেবে, আমার লক্ষ্য হলো আমার নিজস্ব আবেগ ও সৃষ্টিশীলতাকে এই অ্যালবামগুলোর মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।