
জাতীয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তিনি দু’বার ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন এবং ছাত্রদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। তবে তার রাজনৈতিক দল কখনো ক্ষমতায় আসেনি। তিনি মনে করান, ডাকসুতে জিতলেই যে কোনও দল বা প্রার্থী জাতীয় রাজনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলবে, তা একেবারেই নয়।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজিত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ সংস্কার বাস্তবায়নের পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মান্না এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, আমি দেখছি গুপ্ত রাজনীতি করে তারা (শিবির) সংগঠিত হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে প্রবেশ করেছে, গালাগালি করছে, মামলা করছে, কিন্তু মনে করছে এভাবেই তারা বেঁচে থেকে লড়াই চালাতে পারবে। কারণ ওইখানে থাকার পর তারা আবার তার জায়গায় ফিরে এসেছে এবং নির্বাচনে জিতেছে। রাজনীতি হলো কঠিন সংগ্রাম, এটি বুদ্ধিবৃত্তির লড়াই একেবারেই হালকাভাবে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে দেশে মানুষ ভাবতেও পারত না যে ভালো ভোট সম্ভব। মানুষ বলছিল, শেখ হাসিনাকে কেউ সরাতে পারবে না। কিন্তু সেই শেখ হাসিনা চলে গেছেন। ভালো ভোটের জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে চর্চা করছি। এখনও মানুষ আমাদের জিজ্ঞেস করে, ভোট কি হবে? ভালো ভোট নিশ্চিত করতে ঐকমত্য কমিশন আগামীকাল আবার বসবে।
জামায়াত-শিবিরের দিকে ইঙ্গিত করে মান্না বলেন, ৩০-৫০ বছর আগে কোনো রাজনৈতিক দল মাথা তুলে দাঁড়াতো না। কিন্তু এখন তারা মাথা উঁচু করে আমাদের সামনে দাঁড়াচ্ছে এবং আমাদের চাইতে বড়দের চ্যালেঞ্জ করছে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাষানী জনশক্তি পার্টির মুখপাত্র আবদুল কাদির ও মহাসচিব আবু ইউসুফ সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিরাজ মিয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান।